স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজারে অবস্থিত মদিনা মার্কেট দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। ঐ মার্কেটের মালিক আমেরিকা প্রবাসীরা নিজ স্বত্ব দখলীয় ভুমি ও মার্কেট রক্ষায় ইতিপূর্বে আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা দায়েরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত প্রদান করেছেন।
বর্তমানে ঐ চক্র কোনো কিছু করতে না পেরে গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মার্কেটটি নিজেদের দাবি করছে বলে অভিযোগ করেন তারা। আমেরিকায় বসবাসকারী মালিকগণ ও দেশে থাকা তাদের লোকজনকে হুমকি ধমকিসহ মার্কেটটি জোর পূর্বক দখলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অভলম্বন করছে বলে জানান, ঢাকা দক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও জিএস, নিউজার্সি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান নিউজার্সি আওয়ামী লীগের আহবায়ক সফিক উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে ঐ চক্রটি উঠেপড়ে লেগেছে, সফিক উদ্দিন প্রবাসে অবস্থান করলেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সিলেটের স্থানীয় একটি দৈনিক ও জাতীয় একটি দৈনিকে অপপ্রচার করে মানহানি ঘটাতে লিপ্ত রয়েছেন দত্তরাইল গ্রামের জনৈক লন্ডন প্রবাসী ও তার লোকজন।
লন্ডন প্রবাসী ঐ ব্যক্তি লন্ডনে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, সে লন্ডনে বিএনপি ও তারেক জিয়ার প্রত্যেকটি সভা সমাবেশে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে, কিছুদিন পরপর সে দেশে আসে এবং শান্তিশৃংখলা বিঘœ করে থাকে । প্রভাবশালী ঐ ব্যক্তির লন্ডন অথবা বাংলাদেশে কোথাও তার ব্যবসা বানিজ্য না থাকলেও তার টাকা আয়ের উৎস কি ? যা জনসাধারনের মাঝে অনেক দিন থেকেই এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। মদিনা মার্কেটের আরেক অংশিদার বর্তমান রক্ষণাবেক্ষনকারী দত্তরাইল গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আব্দুল মুহিত চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
আব্দুল মুহিত বলেন, বিবাদী জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেছি, যার নং ১০৮/১৮, এবং সিলেটের মাননীয় জেলা জজ ৩য় আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা দায়ের করেছি। মামলা নং- ৩৭/২০১৬ইং ও ১৪৮/২০১৭ইং, মামলাগুলো বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে । মাননীয় যুগ্ম জেলা জজ মো.সাহেদুল করিম ভুমি দখল বিষয়ে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ প্রদান করেন।
এ ছাড়া জামাল উদ্দিনের নিযুক্ত কেয়ারটেকার সনৎ চক্রবর্তী মিথ্যার আশ্রয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবির অভিযোগ এনে প্রবাসী সফিক উদ্দিন, আব্দুল মুহিতসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সিলেটের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে সিআর মামলা নং ১৪১/২০১৬ইং দায়ের করে। আদালত মামলাটি অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেট জেলা শাখাকে নির্দেশ দেন। পিবিআই সরেজমিন ঘটনাস্থলে তদন্ত করে চাঁদা দাবির কোনো সত্যতা না পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ঝলক মোহন্ত বিগত ০৭/০৯/২০১৬ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন প্রদান করেন।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, সনৎ চক্রবর্তী কর্তৃক আনিত অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি, বরং ঘটনার স্থান ঢাকাদক্ষিন উল্লেখ করলেও ঐ সময় সে সিলেটের জিন্দাবাজারে অবস্থান করছিল। কিছুদিন আগে জামাল তার আপন ভাই আমেরিকা প্রবাসী কামাল খান সাহাব উদ্দিনের অনুপস্থিতিতে সাহাব উদ্দিনের ভোগ দখলীয় বসতবাড়ির দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে লেপটপ ও নগদ টাকা পয়সা লুঠে নিয়ে দরজায় নতুন আরেকটি তালা জোরপুর্বক লাগিয়ে দেয়। পরে সাহাব উদ্দিন এ ঘটনা এলাকার মুরব্বিয়ানদের অবগত করে জামাল ও সনৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মোকদ্দমা নং গোলাপগঞ্জ সি/আর ২৪/২০১৯ইং এবং ২০/২০১৯ সহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। আব্দুল মুহিত আরো বলেন, বর্তমানে মদিনা মার্কেটটি তাদের দখলে রয়েছে এবং তিনিসহ আমেরিকা প্রবাসী অপর অংশিদার সফিক উদ্দিন গং প্রকৃত মালিক। বিবাদী জামাল উদ্দিন অপ-প্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। আব্দুল মুহিত প্রশাসনসহ সবাইকে এসব অপ-প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার পাশাপাশি জালিয়াাত চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।