রোববারের ধারাবাহিকতায় সোমবারও লেনদেন শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের উত্থানের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। লেনদেনের প্রথম ৫ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৮০ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
শেয়ারবাজার বড় ধরনের ধসের কবলে পড়লে গত ১৬ জানুয়ারি শেয়ারবাজার উন্নয়নে হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে হতাশায় নিমজ্জিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। শেয়ারবাজারের ওপর বাড়ে আস্থা। ফলে রোববার মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়।
রোববার দেখা দেয়া শেয়ারবাজারের ঊর্ধ্বমুখিতার ধারা সোমবার লেনদেনের শুরুতেও রয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থানের আভাস দেখা দেয়। লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে।
এতে প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনের ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৮৫ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ১৮টির। আর ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে পুঁজিবাজার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেয়ায় রোববার দেশের শেয়ারবাজারে সাত বছরের মধ্যে সব থেকে বড় উত্থান হয়। এতে একদিনেই ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ২৩২ পয়েন্ট বা সাড়ে পাঁচ শতাংশ।
শেয়ারবাজারের এই উল্লম্ফনের বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বেড়েছে। বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করছেন সরকার শেয়ারবাজার ভালো করতে আন্তরিক। তারই প্রতিফল দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে। তাছাড়া বড় ধরনের ধসের কারণে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম অনেক কমে গেছে। এখন এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
তারা বলছেন, এখন যেহেতু শেয়ারবাজার পতন কাটিয়ে উঠছে তাই বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। হুজুগে বা গুজবে বিনিয়োগ করা উচিত হবে না। কোনোভাবেই বিনিয়োগকারীদের প্যানিক সেল (হুজুগে বিক্রি) করা যাবে না। আবার গুজবে পড়ে অতিরিক্ত লাভের আশায় দুর্বল কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না। বিনিয়োগকারীদের ভালো কোম্পানি বাছাই করে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে হবে।