ডেস্ক : সিলেটের কানাইঘাট ও জৈন্তায় আজহারীর মাহফিল নিয়ে কওমি আলেম ও আওয়ামী লীগ জোটের প্রতিবাদের পর গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠকে নিজের মতামত প্রদান করে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলছিলেন , আমি অবাক হই যখন দাড়ি-টুপি মাথায় দিয়ে আপনারা একজন আরেক জনের সমালোচনা করেন, কুরআনের মাহফিল বন্ধ করতে আসেন তখন আমরা খুবই মর্মাহত হই।
এখানে কুরআনের কথা হয় মানুষ উপকৃত হয় সেখানে আমি মুসলমান হয়ে বাধা কেন দিবো। আমি বিষয়টি ডিসি মহোদয়ের কাছে ছেড়ে দিলাম উনি যেটি সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা তা মেনে নিবো।
উল্লেখ্য যে, আগামী ২০ জানুয়ারি সিলেট কানাইঘাটের মুকিগঞ্জ বাজার জামেয়া মাঠে অনুষ্ঠিতব্য তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে আসার কথা ছিল মিজানুর রহমান আজহারীর। কিন্তু মাহফিলের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয় উপজেলার আলিয়া ও কওমিপন্থী আলেম-ওলামা এবং দুপক্ষের সমর্থকরা।
উ’ত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম সিলেটের আলেম সমাজ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের নিয়ে এক বৈঠক করেন। বৈঠকে মিজানুর রহমান আজহারীর বিভিন্ন বিতর্কিত ওয়াজ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তার বয়ান বি’তর্ক তৈরী করছে, সুতরাং সিলেটে আজহারীর অনুষ্টিতব্য সকল মাহফিলে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।