বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল দাবি জানালেও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে পৌরসভায় ভোট ৩০ ডিসেম্বর থেকে না পেছানোর ‘সিদ্ধান্ত নিয়েছে’ নির্বাচন কমিশন।
Related Stories
পৌর ভোট: চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সোমবার জানাবে ইসি
আবার পৌর ভোটের প্রচারে এমপিদের সুযোগ দেওয়ার যে দাবি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টি জানিয়েছিল, তাতেও ইসি সাড়া দিচ্ছে না বলে একজন কমিশনার জানিয়েছেন।
নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এসব দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার কমিশনারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
দুপুরে বৈঠক শেষে কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “কমিশন সভায় সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত বিকালে জানানো হবে।”
তবে বৈঠকে উপস্থিত একজন নির্বাচন কমিশনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- ভোট পেছানো হবে না। এমপিদেরও প্রচারের সুযোগ দেওয়া হবে না।”
ভোট পেছানোর জন্য প্রয়োজনে আইন সংশোধনের যে প্রস্তাব বিএনপির পক্ষ থেকে করা হয়েছিল, নির্বাচন কমিশন সে পথে হাঁটবে না বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ইসি সচিব সিরাজুল।
এর আগে রোববার আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে সিইসির সঙ্গে আলোচনা করে।
তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কাজী রকিব সাংবাদিকদের বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ডিসেম্বরের মধ্যে ২৩৬ পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর ভোট করা হচ্ছে।
“যথেষ্ট সময় রেখেছি, যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ভোট করার লাস্ট চান্স।”
ভোট পেছানোর সমস্যা তুলে ধরে সিইসি সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ, বিশ্ব ইজতেমা ও পরীক্ষার কারণে ডিসেম্বরে ভোট করার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি সবার জানা।
“যদি ৩০ ডিসেম্বর ভোট করতে পারি, তা হবে লাস্ট চান্স। তা না হলে আইন ভঙ্গ হয়ে যাবে। ভোট ভোট যদি পেছাতে না পারি, তার কারণ কী, জানিয়ে দেব আমরা।”