নিজস্ব প্রতিবেদক : এবারের জে.এস.সি পরীক্ষায় জিডিএফ ডিকেফ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সিলেটের ছাত্রী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তাবাসসুম ফেরদৌসি চাঁদনী জিপিএ ৪.২১ পেয়ে উর্ত্তীণ হয়েছে। চাঁদনীর শ্রæত লেখক হিসাবে সহযোগিতা করে রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী দেবযানী ভট্রাচার্য। সে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের নিজগাঁও গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ ও আনোয়ারা খাতুনের কন্যা। চাঁদনী জিডিএফ ডিকেফ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ১২তম পরীক্ষার্থী হিসাবে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। সে ভবিষ্যতে শিক্ষক হয়ে ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনে ভ‚মিকা রাখতে চায়।
এছাড়াও জিডিএফ ডিকেফ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ১০জন শিক্ষার্থী সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে।
এদিকে জিডিএফ এর সহায়ক কর্মী নুরজাহান বেগমের মেয়ে নাদিয়া বেগম ও এবারের জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে উর্ত্তীণ হয়েছে।
এই বিদ্যালয়ে ব্রেইল পদ্ধতিতে সিলেট বিভাগে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়েদের আবাসিক/ অনাবাসিক ব্যবস্থায় সাধারণ শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা, চলন প্রশিক্ষণ, প্রাত্যহিক জীবন-যাপন প্রশিক্ষণ এবং সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিয়ে যাচ্ছে।
গ্রীন ডিসএ্যাবল্ড ফাউন্ডেশন জিডিএফ এর উদ্যোগে ২০০৬ সালে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু বিদ্যালয় সিলেট নামে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। সিলেট নগরীর দাড়িয়ারপারস্থ রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে এই শিক্ষার্থীরা বার্ষিক পরীক্ষা, প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা এবং সেকেন্ডারী স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্য অর্জন করেছে।
উল্লেখ্য যে জিডিএফ ডিকেফ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সিলেট থেকে যথাক্রমে ২০১০ সালে ৬জন ২০১১ , ২০১৩, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে যথাক্রমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য স্থাপিত বিদ্যালয়টি পরিচালনায় যারা ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সহযোগিতা করেছেন জিডিএফ কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন। অনুরুপ সহযোগিতা সকলে অব্যাহত রাখবেন বলে জিডিএফ কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।