নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট নগরীর দক্ষিণ কুশিঘাট এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৩ম বার্ষিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল গত ৪ জানুয়ারি শনিবার রাতে দক্ষিণ কুশিঘাট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন হাফিজ মাওলানা হাসান জামিল-ঢাকা। বিশেষ অতিথির বয়ান পেশ করেন হাফিজ মাওলানা আব্দুল জলিল আরমানী- ঢাকা।
দক্ষিণ কুশিঘাট জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ও খতিব হাজী মাওলানা মখলিছুর রহমান এবং বর্তমান ইমাম ও খতিব মাওলানা হোসাইন আহমদ এর পৃথক পৃথক সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান বক্তার বয়ান পেশ করেন মাওলানা মুফতি মুয়াবিয়া আল হাবিবী- ঢাকা। আমন্ত্রিত উলামায়ে কেরামগণের মধ্যে বয়ান পেশ করেন মাওলানা মমতাজ উদ্দিন বড়দেশী, মাওলানা মুফতি নুরুল হক নবীগঞ্জী, জামেয়া নজিরিয়া গোলাপগঞ্জের মহাপরিচালক মাওলানা ছালেহ নজিব আইয়ুবী, বুরহানাবাদ কুশিঘাট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুশাহিদুল হক উসমানী প্রমুখ।
মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে এলাকার গণ্যমান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সর্বস্তরের মুসিল্লীগণ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।
তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে বক্তাগণ বলেন, প্রত্যেক মুসলমানকে ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তি লাভের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম-আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর দেখানো সঠিক পথ অনুসরণ করে আমাদের কে ইসলামের দাওয়াত ও প্রচারে নিয়োজিত থাকতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানকে নিজ দায়িত্বে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। তবেই কোরআনের আলোয় সমাজ আলোকিত হবে। বক্তারা আরো বলেন, শুধু দুনিয়ার পিছনে ছুটলে চলবে না। দুনিয়াদারীর পাশাপাশি আখেরাতের কল্যাণে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান।
মোনাজাতের মাধ্যমে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।