নিজস্ব প্রতিবেদক::মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ব্রাষ্মণবাজার ইউনিয়নের নাছনী গ্রামে আন্তজার্তিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট এর তত্বাবধানে শস্য কর্তন-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। ১২ ডিসেম্বর বৃহঃবার সকাল ১১টায় উপজেলার জালালাবাদ ব্লকের নাছনী গ্রামের কৃষক হুসাইন মোহাম্মাদ আলীর জমিতে ৪ প্রকার জাতের ধান কেটে কোন ধরনের জাতটি এই এলাকার জন্য উপযোগী তা শস্য কর্তনের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত কৃষকের সামনে আফিজ আলীর জমি থেকে ব্রি ধান৮০, ব্রি ধান৫২, ব্রি ধান৭৮, বিআর ১১ প্রত্যেক জাতের ধান ২০ বর্গ মিটার করে কেটে মাড়াই করা হয় এবং ফসল কর্তনের মাধ্যমে এই এলাকার জাতগুলোর মধ্য থেকে ব্রি ধান৫২ এর হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৫.৬ টন এবং ব্রি ধান৮০ এর হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৪.৭ টন। মৌলভীবাজার জেলায় কুলাউড়া উপজেলার ব্রাষ্মণবাজার ইউনিয়ন একটি বন্যা প্রবন এলাকা এবং প্রায় প্রতি বছর আমন মৌসুমে বন্যার কারনে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আন্তজার্তিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট (ইরি) এই এলাকার জন্য উপযোগী ধানের জাত কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য উপরোক্ত চারটি জাত দ্বারা কৃষকের জমিতে ট্রাইকট প্রর্দশণী স্থাপন করেন। এতে সহযোগীতা করেন ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ(এফআইভিডিবি)
এই শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তজার্তিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট এর সিনিয়র স্পেশালিষ্ট ডঃ ছাইদুল ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জগলুল হায়দার, ব্রাষ্মণবাজার ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দেব, ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ(এফআইভিডিবি)’র কো অর্ডিনেটর মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও প্রজেক্ট অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম সহ এই এলাকার প্রায় ৪০-৫০ জন কৃষক এবং কৃষাণী।