পরিকল্পিতভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে
মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে
—-সিলেট জেলা বিএনপি
সিলেট জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ফ্যাসীবাদী বাকশালী সরকার পরিকল্পিতভাবে তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ষড়যন্ত্রমুলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে কারান্তরীণ গণতন্ত্রের মা গুরুতর অসুস্থ হলেও সরকার পাত্তা দিচ্ছেনা। দেশনেত্রীকে নিয়ে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুলক মনোভাব দেখে প্রতীয়মান হচ্ছে আইনী প্রক্রিয়ায় দেশনেত্রীর মুক্তি সম্ভব নয়। তাই দেশনেত্রীকে নিয়ে যেকোন ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। দেশনেত্রীর মুক্তির দাবীতে ঐতিহাসিক রেজিষ্ঠারী মাঠের সমাবেশে পুলিশী বাধা প্রমাণ করে সরকার দেশে বিরোধী মতের রাজনীতি ধ্বংস করে দিতে চায়। প্রতিদিন রাজপথে বিভিন্ন দলের সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও রেজিষ্ঠারী মাঠে বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে বাধাঁ দেয়া হয়েছে। এর পরিনতি ভাল হবেনা। গণতন্ত্র হত্যার দায়ে আওয়ামীলীগ বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবেই। আর কোন ষড়যন্ত্র না করে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া ফরমায়েসী সাজা সমুহ বাতিল ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা সমুহ প্রত্যাহার করুন।
রবিবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে রেজিষ্টারী মাঠে সিলেট জেলা বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশে পুলিশ বাধাঁ দেয়। সেখানে পুলিশী বেষ্টনীর মধ্যেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহŸায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার। এরপর নেতাকর্মীদের নিয়ে সোবহানীঘাটস্থ আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। রেজিষ্ঠারী মাঠ ও আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকল পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহŸায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটির ১নং সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা আহŸায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আব্দুল গাফফার, আশিক উদ্দিন চৌধুরী, আলী আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, এডভোকেট আশিক উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, ফখরুল ইসলাম ফারুক, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, মাজহারুল ইসলাম ডালিম, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আবুল কাশেম, শামীম আহমদ ও আহমেদুর রহমান চৌধুরী মিলু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহŸায়ক একেএম তারেক কালাম, জেলা বিএনপি নেতা হাজী শাহাবুদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহŸায়ক আরিফ ইকবাল নেহাল, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপি, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, আব্দুল মালেক, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, আব্দুল লতিফ খান, আমিন উদ্দিন আহমদ, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, শাহ মাহমুদ আলী, এনামুল হক মাক্কু, জেলা শ্রমিকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুক এলাহী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, দিলোয়ার হোসেন জয়, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, চৌধুরী মোহাম্মদ সুহেল, আজির উদ্দিন, শফিকুর রহমান টুটুল, ফারুক আহমদ, মনিরুল হক তুরণ, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, কুহিনুর আহমদ, কামরুজ্জামান দীপু, সাঈদ আহমদ, সাহেদুল ইসলাম বাচ্চু, আব্দুল মান্নান, রফিকুল ইসলাম, ফরিদ আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহিলা দল নেত্রী মনিজা বেগম, ফাহিমা আক্তার কুমকুম, ফারজানা বক্ত রায়না, যুবদল নেতা ময়নুল ইসলাম মঞ্জু, আলী আহমদ আলম, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, এখলাছুর রহমান মুন্না, আলী আব্বাস, মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নাদিম, ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম রাসেল, তানভীর আহমদ চৌধুরী, সুহেল ইবনে রাজা, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, আলী আকবর রাজন, দুলাল রেজা ও তাজুল ইসলাম সাজু প্রমূখ।