আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন কয়েকস্থরের নেতার দেখা পাওয়া যায়। এরমধ্যে জাতীয় নেতা, স্থানীয় নেতা, আতি নেতা, পাতি নেতা কতশত নেতা, কিন্তু কর্মী নেই। দিনদিন কর্মী কমেই যাচ্ছে, কারণ সবাই ব্যানার-ফেস্টুন আর ছবি লাগিয়ে নেতা হতে চায়। অথচ ব্যানার লাগানোর জন্য কোন কর্মী নাই, তাই টোকাই দিয়ে ব্যানার লাগাতে হয়। মনে রাখবেন ব্যানার-ফেস্টুন লাগাবে কর্মীরা কোন টোকাই নয়। এসময় হুশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মনে রাখবেন ব্যানার ফেস্টুন আর বড়বড় বিলবোর্ডে ছবি লাগিয়ে নেতা হওয়া যায় না। নেতা হতে হলে দলের জন্য কাজ করতে হয়। ত্যাগ-তিতীক্ষা করতে হয়। কারণ আমরা আওয়ামী লীগে কোন সুবিধাবাবাদীদের স্থান নেই। টাকা দিয়ে আওয়ামী লীগের পদ কেনা যায় না। তাই যারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেন তাদেরকে হুশিয়ার করে দিচ্ছি ভালো হয়ে যান। কোন পকেট কমিটি আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না।
আওয়ামী লীগ মৃত্যুর মিছিলে দাদাঁড়িয়ে জীবনের জয় গান গায় উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমরা অন্ধকারে আলোর মশাল জ্বালাই।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া তিনটায় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
এর আগে নিজের বক্তব্যে শুরুতেই সিলেটি ভাষায় জিজ্ঞেস করেন ‘আফনারা ভালানি’। তখন উপস্থিত সবাই ‘ভালা’ বললে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিও ‘ভালা আছেন’ জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ করতে হলে ত্যাগ-তিতীক্ষা করতে হবে। স্লোগান দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না। আর যারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেন তারা সাবধান হয়ে যান। কারণ দেশে চলমান শুদ্ধি অভিযান চলছে। সেই অভিযানের মাধ্যমে সবাইকে ধরা হবে। একই সাথে মনোনয়ন বাণিজ্য চিরতরে বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে, গনতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।” “আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাঁচাতে হবে, উন্নয়নকে বাঁচাতে হবে, শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে। সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকাল ১১ টায় সম্মেলন শুরু হবার কথা থাকলেও প্রায় ঘণ্টাদেড়েক পর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। এসময় তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়ান।
পরে কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিঠক পাঠে মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওযামী লীগের কেন্দ্রীয সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী, অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান প্রমুখ।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
এর আগে সকাল ১১ টায় সম্মেলন শুরু হবার কথা থাকলে প্রায় ঘণ্টাখানেক পর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। এসময় তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়ান।