সিলেট নগরীতে সিটি বাস সার্ভিসের কাউন্টার নিমার্ণের সিন্ধান্তের জের ধরে সিলেট জেলা অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের ৭০৭ এর শ্রমিকদের সাথে শ্রমিক ইউনিয়নের ২০৯৭ এর সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। গতকাল ২ডিসেম্বর বেলা দু’ঘটিকায় শ্রমিক ইউনিয়নের ২০৯৭ এর শ্রমিকনেতা শাহজাহান, মতছির, খলিল ও ১৪১৮ শ্রমিক ইউনিয়ন এর আবুল হাসনাত সিলেট জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন ৭০৭ এর কার্যালয়ে আসেন। সিলেট-মৌলভীবাজার লাইন এর উপ পরিষদের সম্পাদক আলতাব হোসেন চৌধুরীর সাথে সিটি সার্ভিস বাস কাউন্টারের বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে আলতাব হোসেন চৌধুরীর উপর হামলা করেন শ্রমিক ইউনিয়নের ২০৯৭ এর নেতারা। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পক্ষের শ্রমিকরা লাঠি সোঠা ও ইট পাটকেল নিয়ে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে চালায়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৪০জন শ্রমিক আহত হয়। আহতদের মধ্যে জাকির হোসেন, রাজা মিয়া,রওশন আহমদ, আজাদ মিয়া, হেলাল আহমদ, আলী হোসেন, আব্দুস সালাম, সাইফুল, জাহিদ উদ্দিন, মালেক, নুর, সালাম আহমদ, রুহেল, রেজন, আজাদ, শহিদ, লিয়াকত, সিরাজ মিয়া, শফিক মিয়া, ইকবাল আহমদ, গিয়াস উদ্দিন, মোঃ আজিজ মিয়া, পভেল আহমদ, করিম উদ্দিন, ফয়ছল আহমদ, আব্দুল বাছিত, আব্দুল লতিফ, শাহিন, নুর আহমদ, আবির, তারেক, রেজা মিয়া। গুরুত্ব আহতদের চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে জাইনুদ্দিন ও ইকবাল আহমদ ও অন্যান্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসময় পুলের মুখ হইতে ষ্টেশন রোড বাবনা পয়েন্ট পযর্ন্ত রাস্তা অবরোধ হয়ে থাকে। মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। বাবনা মোড় থেকে ইট পাটকেলে হামলায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়-ক্ষতি হয় ও দু’টি সিএনজি ভাংচুর করা হয়। সিলেট মর্ডাণ কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জানালার গøাস ও কম্পিউটার ভাংচুর হয়, আখদ্দছ রেষ্টুরেন্ট ভাংচুর, পাখি মেলা থেকে তার ব্যবহৃত খাসা ও বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায় শ্রমিকরা। এব্যাপারে সিলেট-মৌলভীবাজার লাইন এর উপ পরিষদের সম্পাদক আলতাব হোসেন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সিটি সার্ভিস বাস কাউন্টারের বিষয় ও গত ১ডিসেম্বর সিলেটে মানববন্ধন নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে ২০৯৭ এর নেতারা আমার উপর হামলা করে। আমি মামলা দায়ের করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।