সিলেট নগরীতে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন লোকজন। করেরপাড়ায় কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। বিভিন্ন এলাকায় দিনরাত বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতে মানুষের চলাফেরা দুরূহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ভোরে ও সন্ধ্যায় পাড়া-মহল্লার পয়েন্টে পয়েন্টে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বাড়তে থাকায় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কুকুরের উৎপাতের কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে কুকুরের কামড়ের ভয়ে অনেকের মাঝে বেওয়ারিশ কুকুর দেখলেই ভয় আর আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, কুকুরের উৎপাতে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়লেও এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো পদক্ষেপ নেই। অবশ্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন সূত্র বলেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার কারণে বর্তমানে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগী লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত দু’বছর ধরে কুকুর নিধন না হওয়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরীর পাঠানটুলা, করের পাড়া, মদীনা মার্কেট, দরগাহ মহল্লা, রাজারগলি, আম্বরখানা, জালালাবাদ আ/এ, সুবিদবাজার, বাগবাড়ী, ওসমানী মেডিকেল এলাকা, জিন্দাবাজার, হাওয়াপাড়া, তাঁতীপাড়া, দাঁড়িয়াপাড়া, চৌহাট্টা, বন্দরবাজার, বারুতখানা, মিরাবাজার, শেখঘাট, মুন্সীপাড়া, রিকাবীবাজার, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, কাজীটুলা, ইলেকট্রিক সাপ্লাইসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবের কথা জানিয়েছেন।
করেরপাড়ার সতীশ সরণী এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী নিলয় দেব নাথ গত ক’দিন আগে কুকুরের কামড়ে আহত হন। তাকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নগরীর মাছুদিঘীর পাড়ের জাফর খান জানান, কুকুরের উৎপাতের কারণে আতঙ্কিত অবস্থায় ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে হয়। তিনি এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সিটি কর্পোরেশনের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেন।
যোগাযোগ করা হলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশের ফলে ২০১৬ সাল থেকে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। কুকুরের উৎপাত নিয়ে একাধিক অভিযোগ থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না বলে জানান। তবে, তিনি দাবি করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও সিলেট জেলায় ১৩ হাজার কুকুরকে ভেক্সিনেশনের আওতায় আনা হয়েছে।