সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন আগামী ৫ ডিসেম্বর। আসন্ন এ সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পদে পরিবর্তন আসবে এমন প্রত্যাশা দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে। সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদকে ঘিরে সিলেটের আওয়ামী পরিবারসহ সচেতন মহলে শুরু হয়েছে উচ্ছ্াস, তাকে নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। দেশব্যাপী পরিচালিত শুদ্ধি অভিযানের পর আওয়ামীলীগের নিখাত ও নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি বাছাইয়ের অন্যতম মাধ্যম এ সম্মেলনে দলীয় নেতাকর্মীরা পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদদের বাছাই করবেন। আর সে বাছাই তালিকায় সিলেটের অন্যতম পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ শাহ ফরিদ আহমদ।
ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আব্দুর রহিম, আ ন ম শফিকুল হক, ইফতেখার হুসেন শামিম, আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, আব্দুল খালিক মায়নের মত সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদকে নিয়ে আলোচনা জমে উঠেছে সর্বত্র। একজন আদর্শ ব্যক্তিত্বের অধিকারী, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত জনবান্ধব নেতা হিসেবে সময়ের প্রয়োজনেই যেন শাহ ফরিদ আহমদকে নিয়ে চারিদিকে উচ্ছ্াস আর নতুন সম্ভাবনার আহবান জানান দিচ্ছে।
ঐতিহ্যবাহী ও রাজনৈতিক সচেতন পরিবারের সন্তান এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র ও দক্ষ সংগঠক। তার অগ্রজ শাহ মোদাব্বির আলী মানিক মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের পাশাপাশি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সফল সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মূলত পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা, দেশপ্রেম আর জাতির পিতার প্রতি আনুগত্য দেখেই ষাটের দশকের শেষের দিকে স্কুলছাত্র থাকাকালীল অবস্থায় মিছিলে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে আগমন ঘটে শাহ ফরিদের। জাতির জনককে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই মূলত এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদের রাজনীতিতে আসা।
পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তিনি দায়িত্ব নেন বিশ্বনাথ থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হিসাবে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ পুনর্গঠনে রাখেন অগ্রনী ভুমিকা। সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশ নেয়া শাহ ফরিদ আহমদ ১৯৮২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও সৈয়দ আমির হলের এজিএস নির্বাচিত হন।
একজন সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ, কর্মী বান্ধব নেতা হয়ে গড়ে উঠা শাহ ফরিদ মেধার স্বাক্ষর রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অনার্স ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। সর্বশেষ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এল.এল.বি ডিগ্রী অর্জন করে বর্তমানে একজন বিজ্ঞ আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের একজন ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।
স্বৈরশাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলন ও বিএনপি-জামাত জোট সরকারে দু:শাসনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা এই মুজিব সৈনিক ২০০১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ২০০২ সালে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১১ সালের জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে তৃণমূলের পছন্দনীয় প্রার্থী হওয়া সত্বেও অদৃশ্য কারণে হন পদবঞ্চিত। ফলে আসন্ন সম্মেলনে শাহ ফরিদ আহমদই এ পদের জন্য যোগ্য প্রার্থী বলে দলীয় নেতাকর্মীরা দাবী করছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা প্রসঙ্গে শাহ ফরিদ আহমদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় নেতৃত্ব যদি আমাকে বিবেচনায় নেন, তাহলে প্রতিটি উপজেলায় এমনকি ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে সংঘটিত করতে আমার জীবনের অবশিষ্ট সময় ব্যয় করতে চাই। আর এটাই আমার জীবনের শেষ চাওয়া।’ তিনি এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।