সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন ৮০’র দশকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এবং বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান। তিনি দীর্ঘদিন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ লড়তে কাউন্সিলরদের কাছে চষে বেড়াচ্ছেন। মুহিবুর রহমান রাজনীতির বহু ঘটনা, দুর্ঘটনা ও ইতিহাসের জন্ম দেওয়া একজন সাহসী রাজনীতিবিদ। যার পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম কলমদর আলী ছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রথম বাঙালী যিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে লন্ডন থেকে একটি ফিল্ড হসপিটাল (জীপ গাড়ি)নিয়ে ভারতে যান এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রবাসী সরকারের ফান্ডে জমা দেন। মুজিব আদর্শের সৈনিক তরুণ মুহিব পিতার সাথে প্রবাসী সরকারকে সহায়তা প্রদানের জন্য অর্থ সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ৭৫এর ১৫ই আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের পর যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য মনোনীত হন। পরবর্তী সময়ে সিলেট আওয়ামী লীগের পূণর্জাগরণের ভূমিকা রাখার তাগিদে দেশে এসে দায়িত্ব নেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদকের। তার সততা বঙ্গবন্ধু প্রেম ও দলীয় আনুগত্য দেখে তৎকালীন স্থানীয় ও জাতীয় নেতৃত্ব ১৯৮০ সালে বৃহত্তর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি উপ কমিটির আহবায়ক ও সদস্যের দায়িত্ব দেন।
১৯৮৫ সালে মাত্র ২৯বছর বয়সে বিশ্বনাথের জনসাধারণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যান। শত প্রতিকূলতা আর রক্তচক্ষুর ভয়কে জয় করে মুহিবুর রহমান আওয়ামী লীগের রাজনীতে সক্রিয় হন। ২০০৯ সালে অনুষ্টিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েই স্বতন্ত্র উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে সময়ের প্রভাবশালী বিএনপি নেতা এম.ইলিয়াস আলীর রোষানলে ক্ষত-বিক্ষত বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠা মুহিবুর রহমানকে মোকাবেলা করতে হয়েছে একাধিক প্রাণঘাতি ষড়যন্ত্র। সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেঙ্গে নিজের যোগ্যতায় তিনি উপজেলা এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তখনি শুরু করে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। একের পর এক তার জনপ্রিয় নেতাকর্মী কে হত্যা করা শুরু হয়। পরবর্তীতে বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জে বঙ্গবন্ধু অনুসারীরা তাকে একক প্রার্থী হিসেবে নৌকার কান্ডারীর ভূমিকায় দেখতে চাইলেও অদৃশ্য কারণে তিনি আবারও থেকে যান মনোয়ন বঞ্চিত। আসন্ন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রার্থীতা প্রসঙ্গে আলাপকালে মুহিবুর রহমান বলেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আমি সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন পর্যালোচনা পূর্বক জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত এবং অধিক শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সম্মানিত নেতাকর্মীবৃন্দ আমার উপর আস্থা রাখবেন আমাকে মূল্যায়ন করবেন। এক্ষেত্রে আমি হলফ করে বলতে পারি এই বয়সে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বার্থক কারিগর বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি বাস্তবতায়নে যদি আমার উপর গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয় তাহলে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ কে অধিকতর শক্তিশালী করে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে আমি কখনও পিছপা হবো না।