যে সকল মানুষের ডায়াবেটিকস রোগ ও প্রেসার রোগ রয়েছে তাদেরকে নিয়মিত কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি দরকার। শুরুতেই পরামর্শ গ্রহণ করে সুষ্ঠু চিকিৎসা নিলে রোগী স্বল্প দিনেই ভালো হয়ে যায়। কোনো রকম ঝুঁকি থাকে না। এজন্য প্রত্যেক রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন চালানো প্রয়োজন।
গতকাল ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সিলেট নগরীর কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট-এর উদ্যোগে দিনব্যাপি এক বৈজ্ঞানিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন- রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক ছাড়া নিজের মন মতো ওষুধ সেবন উচিৎ নয়। কোনো মানুষের কিডনী রোগ হলে আতংকিত না হয়ে সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা নেয়া সবার আগে নেয়া দরকার । প্রথম ধাপে কিডনী রোগ ধরা পড়লে ভালো হওয়া কঠিন কিছু নয়। তারা বলেন- প্রতিটি মানুষ খ্যাদাভাস এ সচেতন হলে ও শৃঙ্খল জীবনযাপন করলে কিডনী রোগ থেকে জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। একেবারে শেষ পর্যায়ে চিকৎসকের কাছে আসলে কোনো লাভ হয় না। এক সময় কিডনী ড্যামেজ হয়। এতে কোনো রোগী বাঁচানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশে অনেক ভালো ভালো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। তারা কাজ করছেন। তাঁদের অকৃত্রিম আন্তরিকতার সেবায় প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
বৈজ্ঞানিক কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন-কিডনী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রফেসর ডা: হারুন- উর রশিদ, কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট-এর সাধারণ সম্পাদক বীর প্রতীক কর্নেল এম এ সালাম (অব), কিডনী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি ফেরদৌস রশীদ, কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট-এর সহ-সভাপতি প্রকৌশলী হাবিব আহসান বাবলু, কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট-এর ট্রেজারার জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট-এর ট্রাস্ট্রি বোর্ড-এর সদস্য ডা: মোস্তফা শাহ জামান চৌধুরী বাহার, ডা: আলমগীর চৌধুরী, ডা: নজমুস সাকিব, ডা: শুভার্থী কর, ডা: কাজী মুশফিক আহমেদ, ডা: সাকিব উজ জামান আরেফিন, ডা: জাকির হোসেন তপু, ডা: তাসনুভা সারাহ কাসেম, ডা: নুরা আফজা সালমা বেগম, ডা: মো: নজরুল ইসলাম, মো: মোসাররফ হোসেন, ডা: রুহুল আমিন রুবেল, ডা: মো: আবু সৈয়দ, বিদেশী চিকিৎসক ডা: স্ট্যানলি ফান, প্রফেসর ডা: মাগডি ইয়াকুব ও ডা: কেরিন ম্যাকফারটি প্রমুখ। এছাড়া সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট-এর প্রধান নির্বাহী ফরিদা নাসরীন, কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট-এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মহিবুর রহমান রাসেল ও ম্যানেজার আতিকুর রহমান। কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট-এর প্রধান নির্বাহী ফরিদা নাসরীন জানান- কিডনী রোগ শনাক্ত করার জন্য প্রিটেনিং পরীক্ষার মূল্য ১৪০/= টাকা ও ইউরিনারী পরীক্ষা ১৪০/= টাকা নেয়া হয় কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট-এ। আগামী বছরের জানুয়ারী মাসে সিলেট শহরতলীর কুমারগাঁও এলাকায় ২ বিঘা জায়গায় ১০০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১০ তলা বিশিষ্ঠ ১১০ শয্যার কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ২০২২ সালে হাসপাতালটি শুভ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি