রবিবার রাতে থানার এসআই দিদারুল আলম বাদী হয়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং আরো ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ১৬ (তাং ১৭.১১.১৯ইং)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৫(৩)১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইন, সরকারি সম্পত্তি ও জনগণের চলাচলের সড়কে প্রতিবন্ধকতাসহ নাশকতামূলক কার্যকলাপ সংগঠিত করার অপরাধে থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতাকারী জয়নাল আবেদীনকে প্রধান অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। হামলা ও পাল্টাপাল্টি মিছিলের পর পরই থানা পুলিশ উপজেলা সদরে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে জয়নাল আবেদীন এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাজ্জাদ আলী শিপলু ও ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন টিটু গ্রেপ্তার করে।
মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল হাই, বসির আহমদ, আহমদ-নূর উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সুরমান খান, নানু মিয়া, অলংকারী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কাওছার খান, যুগ্ম আহবায়ক কয়েস মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান খালেদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মতিউর রহমান সুমন, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাসেল আহমদ, বিএনপি নেতা খোয়াজ আলী, বাবুল মিয়া, পরতাব আলী, জুনেদ মিয়া, যুবদল নেতা পাবেল আহমদ, আব্দুর রুপ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা চেরাগ আলী, জিলু মিয়া, ছাত্রদল নেতা রিপন মিয়া, ময়নুল হক।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, ঘটনার পর ব্যাপক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় ও ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাসেল আহমদ উপজেলা সদরের পুরাণ বাজারস্থ একটি মোবাইলের দোকানে প্রবেশ করা মাত্রই অতর্কিতভাবে জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর গ্রুপের অনুসারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাজ্জাদ আলী শিপলু ও ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন টিটুর নেতৃত্বে গ্রুপিং দ্বন্দের জের ধরে তার (রাসেল) উপর হামলা করা হয়। অতর্কিত হামলায় রাসেল আহত হন। রাসেলের উপর হামলা হওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা সদরে জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে জুতা ও ঝাড়ু মিছিল করেন তার (রাসেল) গ্রুপ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল হাইর অনুসারী নেতাকর্মীরা। এরপর কিছুক্ষণ পরই পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল করেন সুহেল আহমদ চৌধুরীর অনুসারী নেতাকর্মীরা।
এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে থানা পুলিশ ব্যাপক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার ও ৫ জনকে আটক করে। আটককৃত ৫ জনের মধ্য ৩ জনকে পুলিশের দায়ের করার বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।