সিলেটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাধিক ডিভিশনের সেনানিবাস স্থাপনের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও পাননি সদর উপজেলা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার হাজিরাই, আমধরপুর ও হাতিমনগর মৌজার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকগণ। এল এ মামলা নং-০১/২০১৩-১৪ এর মূলে এ জমি অধিগ্রহণ করেছিল সরকার। পরে ১৭/১৫, ৩৬/১৫, ২৫/১৫, ১২/১৭নং মিস মামলার রায় ও আদেশ প্রাপ্ত হলেও এখন পর্যন্ত তারা ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। ক্ষতিপূরণের এ অর্থ পেতে তারা সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। পাশাপাশি অর্থ না পাওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দিয়েছেন তারা। গতকাল সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি ও অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ। লিখিত বক্তব্যে কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, অধিগ্রহণকৃত হাজিরাই মৌজার ভূমির মূল্য নির্ধারণেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এজন্য তারা ভূমির মূল্য পুনরায় নির্ধারণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবিও জানান। তারা বলেন, ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ভূমিখেঁকো আবাসন ব্যবসায়ীরা দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে সিলেট এলএ শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করে নেয়। এজন্য আমরা মিস মামলা করি। তবে মিস মামলার আদেশ প্রাপ্ত হয়েও প্রায় ৬ বছর ধরে ক্ষতিপূরণের কোন অর্থ পাইনি।’ তারা বলেন, এজন্য তারা সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছেও আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কোন সুরাহা পাননি। বর্তমানে তারা কৃষি জমি হারিয়ে খাদ্য উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়ে বেকার জীবনযাপন করছেন। একই সাথে ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় পরিবার নিয়েও কষ্টের সাথে দিনযাপন করছেন। তাই তাদের অধিকার রক্ষায় ও ন্যায় বিচার প্রাপ্তির লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি হাজী আজমল আলী, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল মালিক, শামীম আহদ, আজমল আলী নেপুর, মার মিয়া, হাজী আলকাছ মিয়া, শফিকুর রহমান, মরহ আলী, মজির উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, হাজী ফজলু মিয়া, শমছুল ইসলাম, সুমন আহমদ, আব্দুস সালাম লেদাই প্রমুখ।