শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হতে আসা পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া জালিয়াতির সহযোগিতা করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের এ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তার নাম সামিউল ইসলাম কৌশিক।
মঙ্গলবার রাতে ভর্তি পরীক্ষায় শৃঙ্খলা বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বি-১ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হতে আসা পাঁচ শিক্ষার্থীকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। পরীক্ষায় তাদের একই সেটকোড, রোল নম্বরে ঘষামাজা ও সমান সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বিষয়ে মিল রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সন্দেহজনক আটক করা হয়।’ তারা হলো, রংপুরের রিয়াদুল জান্নাত রিয়াদ, বগুড়ার জাহিদ হাসান ও আরিফ খান রাফি, বগুড়ার শাজাহানপুরের আবির মোর্শেদ ও শাকিদুর ইসলাম শাকিল।
প্রক্টর জানান, ‘গত ২৬ অক্টোবর ক্যালকুলেটর ডিভাইস সংযুক্ত করে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সময় তাদের আটক করা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় দিন আটক ও উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হতে আসা আটক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করেছেন প্রক্টরিয়াল বডি। এদিকে শাবি শিক্ষার্থী কৌশিক তিনজনকে এ বছর জালিয়াতির মাধ্যমে চান্স পাইয়ে দিয়েছেন বলে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা চার শিক্ষর্থীকে জালিয়াতির ডিভাইস ক্যালকুলেটরসহ আটক করা হয় তার হলো বগুড়ার মাহমুদুল হাসান, সাদ মো. সাহেল, ইব্রাহিম কালিল জীবন ও আহসান আলী।