লায়েক আহমদ জিকো রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া মাঠ পর্যায়ে থেকে বেড়ে উঠা একজন সফল কর্মী। ১৯৯৬ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ইউনিয়নের ওয়ার্ড থেকে শুরু করেন ছাত্রলীগের রাজনীতি। রাজনীতি করতে গিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বার বার নির্যাতিত হয়েছেন। বেশ কয়েকবার জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার শিকারও হয়েছেন।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল অনুসারী হিসেবে ও সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী’র রাজনীতির সাথেও সক্রিয় রয়েছেন। তিনি বর্তমানে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে একক সাংগঠনিক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর অনুষ্টিত উপজেলা সম্মেলনের মাধ্যমে আসবে নতুন নের্তৃত্ব। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতা লায়েক আহমদ জিকোর একক প্রার্থিতা নিয়ে উপজেলার রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। তরুণ এ রাজনীতিবিদকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে দেখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। একক পদে লায়েক আহমদ জিকোর অবস্থান রয়েছে। লায়েক আহমদ জিকো’র বিকল্প নেই।
লায়েক আহমদ জিকোর বাবা হাজী আহমদ আলী ছিলেন ১৯৭১ পরবর্তী লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, চাচা মাহমুদ আলী ছিলেন তৎকালীন জাসদ ছাত্রলীগ (আ স ম রব) এর কেন্দ্রীয় নেতা, আরেক চাচা মখলিছুর রহমান সম্রাট ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের নেতা এবং বৃহত্তর সিলেট সদর থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাতা কমিটির সহ-সভাপতি।
লায়েক আহমদ জিকো দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের করসনা গ্রামের এক রাজনৈতিক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৮৬ সালের ২৯ অক্টোবর জন্ম নেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ২০০৩ সালে এস,এস,সি ২০০৫ সালে এইচ,এস,সি ও ২০১২ সালে সিলেট সরকারী কলেজ থেকে ডিগ্রী পাস করেন পাশাপাশি ছাত্র বয়স থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে লালাবাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালের লালাবাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০০৮ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয় আছেন। তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এলাকার শিক্ষা ক্ষেত্রে রয়েছে তার অমূল্য অবদান। তিনি মোহাম্মদী সরকারি প্রাথমিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে পালন করে যাচ্ছেন এবং লালাবাজার স্কুল এন্ড কলেজ ও আব্দুল কাদির জিলানী ইন্সটিটিউট এর গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য এবং করসনা আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী লায়েক আহমদ জিকো জানান, তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবেন।
উল্লেখ্য ১৯৬৯ সালের ৭০ দশকের সদর থানা কমিটি নিয়ে দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৪-৯৫ সালে আহবায়ক মরহুম মৌলুল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক হাজী রইছ আলী, হাজী ফারুক আহমদ, মো. সাহেদ হোসেনকে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
আহবায়ক কমিটির মধ্যদিয়ে সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচত সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক মরহুম ডা. আব্দুস শুকুর ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাহেদ হোসেন। উক্ত কমিটির মেয়াদ শেষে পরবর্তীতে ২০০৪ সালে আবারও সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগ গঠিত হয়। তখন সভাপতি ডা. আব্দুশ শুকুর ও সাধারণ সম্পাদক হাজী রইছ আলী নির্বাচিত হন।
সভাপতি ডা. আব্দুশ শুকুর মৃত্যুবরণ করলে দীর্ঘ দিন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান সভাপতি হাজী সাইফুল আলম। এভাবেই চলে যায় দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগের প্রায় ১৫ বছর। সাংগঠনিক কার্যক্রমের কোন ধারবাহিকতা ছিলনা। কাউন্সিলর রয়েছেন ৩৬০জন।