সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার খবর এখন পুরনো। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে ছাড়াই বাংলাদেশ দল ভারত পৌঁছেছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। তারপরও ভক্তদের অন্তরে বিঁধে থাকা কাটা খোঁচাচ্ছে তাদের। তারই প্রতিফলন ঘটছে প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। এই অবস্থায় ভক্তদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন দেশের ক্রিকেটের প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসান।
শুক্রবার রাতে দেয়া এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘শুরুতেই বলতে চাই, এই খারাপ সময়ে সকল ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী যে নিঃস্বার্থ সমর্থন, ভালোবাসা নিয়ে আমার এবং আমার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। শেষ কয়েকদিনে দেশের হয়ে মাঠে নামার গুরুত্ব আমি আরও ভালোভাবে অনুধাবন করতে পেরেছি৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমার ওপর শাস্তি আরোপিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ সকল ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি।’’
প্রিয় ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞায় অনেকেই বিসিবিকে দায়ী করে আসছে। এ বিষয়ে তিনি লেখেন, ‘‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আইসিসি আকসুর পুরো তদন্তটাই ছিলো অত্যন্ত গোপনীয় এবং আমার উপর শাস্তি আরোপিত হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে বিসিবিকে আমি এ ব্যাপারে জানাই। দেরিতে জানলেও এমন পরিস্থিতিতে বিসিবিই আমাকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে। তাই, বোর্ডের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।’’
নিজের অবহেলার কথার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান, ‘‘যারা এই কঠিন সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। মনে রাখতে হবে, পুরো ব্যাপারটিই একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হচ্ছে। যেহেতু ওই সময়ে আমি আমার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারিনি তাই আমিও আমার ওপর আরোপিত শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছি।’’
সবশেষে ছিলো ফেরার দৃঢ় প্রত্যয়, ‘‘২০২০ সালে বাংলাদেশের হয়ে আবার মাঠে নামার কথা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কিছুই ভাবছি না আমি। ততদিন পর্যন্ত আপনাদের দোয়া আর প্রার্থনায় আমাকে রাখবেন বলেই আশা করছি। ধন্যবাদ।’’