ডেস্ক :বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে এবার তার রুমমেট মো. মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান।
মিজান বুয়েটের ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আবরারের বাবার করা হত্যা মামলায় ১৯ জনের মধ্যে মিজানের নাম নেই বলে মাসুদুর রহমান জানান।
এর আগে বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ সম্পাদক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত সাহকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সবুজবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবরার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে তার নাম আসার পরও মামলায় তার নাম না থাকা নিয়ে গত দুদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছিল।
মাসুদুর রহমান জানান, আবরার হত্যাকাণ্ডে এ নিয়ে মোট ১৫ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ ছিলেন শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। ওই কক্ষে তার সঙ্গে থাকতেন ১৬তম ব্যাচের মিজান, ১৭তম ব্যাচের রাফি এবং যন্ত্র প্রকৌশলের তানভির আহমেদ অন্তিম।
ফেইসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে গত রোববার রাতে শিবির সন্দেহে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শুরু হয় মারধর। লাঠি ও ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে পেটানোর পর আবরারের মৃত্যু হলে তার লাশ ফেলে রাখা হয় সিঁড়িতে।
বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই যে মাতাল অবস্থায় আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তা উঠে এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই ভার্তৃপ্রতীম সংগঠনের নিজস্ব তদন্তেও। বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ জনকে ইতোমধ্যে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।