ধর্ম ডেস্ক:কোরবানি দেয়ার পর গরুর গোস্ত বন্টন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোরবানির গোস্ত যদি সঠিকভাবে বন্টন করা না যায় তবে কোরবানি কবুলের শর্ত পূরণ হবে না। তাই মাংস বন্টনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
কমবেশি সবারই জানা আছে, পশু কোরবানি করার পর মোট মাংসের তিনটি ভাগ করে এক ভাগ গরিব-দুঃখীকে, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য রাখতে হয়। তাই পশুটি কেনার সময় সুস্থ এবং বেশি গোস্ত সম্পন্ন হলে সব পক্ষই লাভবান হয়।
পশু কোরবানির ফলে অন্তর পরিশুদ্ধ হবে। আর এটাই হ’ল কোরবানির মূল প্রেরণা। আজকাল অনেকে গোশত জমা করে সেখান থেকে প্রতিবেশী ও ফকীর-মিসকীনদের কিছু কিছু দিয়ে বাকী গোশত পুনরায় নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেন। এটি একটি কুপ্রথা। এর মাধ্যমে কৃপণতা প্রকাশ পায়। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
আসুন জেনে নেই কিভাবে বন্টন করবেন কোরবানির গোস্ত।
তিনভাগে ভাগ
কোরবানির গোস্ত বানানোর পর সব মাংসকে সমান তিনভাগে ভাগ করতে হবে। পরিমাপের ক্ষেত্রে দাড়িপাল্লা ব্যবহার করা যেতে পারে।
গরিব-দুঃখী ও আত্মীয়স্বজন
গোস্ত সমান তিন ভাগ করার পর এক ভাগ গরিব-দুঃখীকে, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য রাখতে হয়।
চামড়া
কোরবানির গরুর আরেকটি অংশ হচ্ছে চামড়ার টাকা। যাতে গরীর মিসকিনদের হক রয়েছে।
কোরবানির গোস্ত সব সময় নিকটতম আত্নীয় ও আশপাশের গরিব-দূঃখী প্রতিবেশিদের দেয়া উত্তম।