Please Share This Post in Your Social Media
সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক :: শহরতলির আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সুরত আলীর ছেলে এবার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ২ শিশুকে মারধর করার পাশাপাশি তাদের সাক্ষ্যদান থেকে বিরত রাখার জন্য নানা পাঁয়তারা করছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ২ সাক্ষীর পরিবার। শিশু ধর্ষক সুরত আলীকে জামিনে মুক্ত করার অংশ হিসেবে সাক্ষীদের এমন হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ।
সাক্ষীদের উপর্যুপরি হুমকির কারণে মামলায় প্রভাব পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছেন নির্যাতিতার পরিবার।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ২ সাক্ষীর পিতা মো. ওহিদের দারা মিয়া ও মেহদী হাসান ফাহিমের পিতা সেলিম আহমদ বাদি হয়ে শাহপরান (রহ.) থানায় পৃথক সাধারণ ডায়রি করেছেন। ধর্ষণ মামলার সাক্ষী মো. ওহিদের পিতা দারা মিয়া সাধারণ ডায়রিতে উল্লেখ করেন, শহরতলির শাহপরান ইসলামাবাদ ছড়ারপার এলাকায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী মো. ওহিদকে (১৪) প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে কারাগারে থাকা শিশু ধর্ষক সুরত আলীর ছেলে জাকির। গত ১৫ জুলাই রাতে ওহিদের শাহপরান থানার ছড়ারপারে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়। জিডিতে আরো উল্লেখ করা হয়, শিশু ধর্ষক সুরত আলী কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার বখাটে ছেলেরা এলাকায় একের পর এক কান্ড করে যাচ্ছে। সুরত আলীকে কারাগার থেকে বের করার জন্য মামলার সাক্ষীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি প্রদান করে যাচ্ছে। এমনকি সুরত আলীর ছেলে জাকির তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে স্বাক্ষীদের মারধর করে যাচ্ছে। তারা যেকোনো কিছুর বিনিময় হলেও এই শিশু ধর্ষক সুরত আলীকে কারাগার থেকে বের করার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে।
এ ঘটনায় শাহপরান থানায় ওহিদের পিতা বাদি হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং-৭৬৯, তারিখ ১৬/০৭/২০১৯। এদিকে, একই রাতে ধর্ষণ মামলার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী মেহদী হাসান ফাহিমকে (১৩) প্রাণনাশের হুমকি দেয় শিশু ধর্ষক সুরত আলীর ছেলে ও তার লোকজন। এ হুমকির ঘটনায় তার পিতা সেলিম আহমদ শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং-৭৭০, তারিখ ১৬/০৭/২০১৯। স্থানীয়রা জানান, সুরত আলী কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই রাত ছেলেরা তাদের বাহিনী নিয়ে এলাকার লোকদের উপর নানা অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আজ রোববার শিশু ধর্ষণ মামলার ধার্য তারিখ এই তারা সুরত আলীকে বের করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। গত ৩১ মার্চ বিকেলে আল মদিনা আবাসিক এলাকায় সুরত আলী ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে তেঁতুল খাওয়ানোর কথা বলে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই সময় শিশুর চিৎকারে খেলার সঙ্গীরাসহ প্রতিবেশিরা এগিয়ে গেলে ধর্ষক সুরত আলী পালিয়ে যান।
পরে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। এরপর শিশুর পিতা গত ৪ এপ্রিল শাহপরান (রহ.) থানায় মামলা করেন। যার মামলা নম্বার (০৪, তারিখ ০৩.০৪.২০১৯)। মামলার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয় ধর্ষক সুরত আলী। গত ২০ মে আদালতে সুরত আলীকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। গত ১৮ জুন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হকের আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত আসামি ছুরত আলীকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে শিশু ধর্ষণ ঘটনার পর খাদিমপাড়াবাসীসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ধর্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে দফায় দফায় মানববন্ধন করেন।
Related