November 24, 2024, 2:54 am

সংবাদ শিরোনাম :
সেইলরের নতুন পূজা কালেকশন সেজে উঠুন আপনিও রুদ্র নিহতের ঘটনায় সিলেটে মামলা, আসামি ৩ শতাধিক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের পরিচয় আসাদুজ্জামান ও ওবায়দুল কাদেরর নিষেধাজ্ঞা দিতে আহ্বান মার্কিন কংগ্রেসের ৬ সদস্যের নোবেলজয়ী থেকে সরকার প্রধান কে এই ড. ইউনূসের বড়লেখাবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন সমাজসেবক সাইদুল ইসলাম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রবাস খাঁদে”পুলিশেরে সাহসী ভূমিকায় বেঁচে গেল ১১ টি প্রান” সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বর্ষায় বাড়ছে রোগবালাই আগামীকাল সিলেট ফিরছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বাজেটে বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটের দাম প্রধানমন্ত্রী পদে মোদীকে সমর্থন নাইডু ও নীতিশের হুয়াওয়ের ‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা সিলেটে অবৈধভাবে আসা ২ কোটি টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ সিলেট মহানগর যুবলীগের ৪ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন”সভাপতি পদে শাকিল নির্বাচিত চোরাচালান লাইনম্যান রুবেল আহমদ বেপরোয়া জমির ধান নষ্ট করে দিলো প্রতিপক্ষ: দিশেহারা কৃষক সিলেটে ইট ভাটা নিয়ে নজিরবিহীন কেঙ্ককারী বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী সুজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মাওলানা লুৎফুর রহমানের মৃত্যু ”গুজব সংবাদ ফেসবুকে” বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে সচিবদের :প্রধানমন্ত্রীর সিলেটে বিজয় দিবসে গানের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষ:নিহত-১ বইমেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক : কবি নুরুল হুদা বন্ধুকে বিদেশ পাঠানোর সহযোগীতায় বন্ধু খুন দুর্নীতি-অনিয়ম র অভিযোগে ডৌবাড়ী প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের ৪ সদস্য বহিষ্কারের অভিযোগ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী গোয়াইনঘাটের শীর্ষ কুখ্যাত চোরাকারবারী কালা মিয়া
সাংবাদিকতায় চাকুরি হারানো জনসন আজ যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্ট

সাংবাদিকতায় চাকুরি হারানো জনসন আজ যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্ট

Please Share This Post in Your Social Media

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: দেড় যুগের সাংবাদিকতা আর রাজনৈতিক জীবনের নানা উত্থান-পতন পেরিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলেছেন বরিস জনসন।

ঘনিষ্ঠ মিত্রদের ‘বিশ্বাসঘাতকতায়’ মাত্র কয়েক বছর আগেও যার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখা যাচ্ছিল, যার উল্টোপাল্টা মন্তব্য অনেকবারই কনজারভেটিভ নেতৃত্বকে বিব্রত করেছে, অবশেষে সেই জনসনই যাচ্ছেন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে।

মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি তাদের নতুন প্রধান হিসেবে ৫৫ বছর বয়সী সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে।

ব্রেক্সিট নিয়ে বেহাল দশায় জুনে টেরিজা মে ক্ষমতাসীন টোরি দলের নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর কয়েক সপ্তাহের নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে ‘কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি’ জনসন ওই পদগুলোতে স্থলাভিষিক্ত হলেন।

চূড়ান্ত পর্যায়ে জনসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের সঙ্গে। তবে দলের নিবন্ধিত কর্মী-সমর্থকরা শেষ পর্যন্ত লন্ডনের সাবেক মেয়রকেই বেছে নিয়েছেন।

পিতৃকূলের দিক থেকে জনসনের আছে একইসঙ্গে ব্রিটিশ ও তুর্কি উত্তরাধিকার। তার দাদার বাবা আলি কামাল ছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। উদারপন্থি এ সাংবাদিক সুলতানের গ্র্যান্ড ভিজার (প্রধানমন্ত্রী) দামাত ফরিদ পাশার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

জনসনের দাদার নানি মেরি লুই দে পিফেল ছিলেন উর্তেমবার্গের যুবরাজ পলের বংশধর; সেই সূত্রে গ্রেট ব্রিটেনের রাজা জেমস ওয়ান ও রাজা জর্জ টু-রও বংশধর।

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সাবেক কনজারভেটিভ সাংসদ স্ট্যানলি জনসন ও তার প্রথম স্ত্রী চিত্রকর শার্লট ফসেটের সন্তান আলেক্সান্ডার বরিস দে পিফেল জনসনের জন্ম ১৯৬৪ সালের জুনে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে।

রাজনীতিতে আসার আগে স্ট্যানলি বিশ্ব ব্যাংক ও ইউরোপিয়ান কমিশনে কর্মরত ছিলেন। জনসনের নানা স্যার জেমস ফসেট ইউরোপিয়ান মানবাধিকার কমিশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় জনসনের শৈশব কেটেছে নিউ ইয়র্ক, লন্ডন ও ব্রাসেলসে। বধির ছিলেন তিনি। যে কারণে শৈশবেই তাকে বেশ কয়েকবার অপারেশনের টেবিলে যেতে হয়েছিল; জনসন সেসময় তুলনামূলক চুপচাপ ছিলেন বলে তার আত্মীয়স্বজন জানিয়েছে।

কিং স্কলারশিপে বার্কশায়ারের ইটন কলেজে পড়ার পর অক্সফোর্ডের বেলিওল কলেজে ক্ল্যাসিকসে ডিগ্রি নেন জনসন। তিনি বিতর্ক সংগঠন অক্সফোর্ড ইউনিয়নেরও প্রেসিডেন্ট ছিলেন; ছিলেন বুলিনডং ক্লাবের সদস্য, যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন ডেভিড ক্যামেরনও।

ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা হিসেবে কিছুদিন কাজ করার পর জনসনের সাংবাদিকজীবন শুরু হয়। ১৯৮৭ সালে টাইমসে প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর একজনের উদ্ধৃতি জাল করায় চাকরি হারাতে হয় তাকে।

ডেইলি টেলিগ্রাফে জনসন ইউরোপ বিষয়ক সংবাদদাতা ছিলেন ৫ বছর। পরে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত তিনি একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৪ সাল থেকেই জনসন ম্যাগাজিন ‘দ্য স্পেকটেটরে’ রাজনৈতিক কলাম লেখা শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ম্যগাজিনটির সম্পাদক হন; ২০০৫ পর্যন্ত তিনি এ পদেই ছিলেন।

টেলিগ্রাফে থাকার সময় ১৯৯৭ সালে ক্লয়েড সাউথ এলাকা থেকে হাউস অব কমন্সে নির্বাচন করেন জনসন। সেবার লেবার পার্টির মার্টিন জোন্সের সঙ্গে জিততে পারেননি।

সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত জনসনকে ১৯৯৮ সাল থেকে বিবিসি’র ‘হ্যাভ আই গট নিউজ ফর ইউ’সহ টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেতে থাকে।

২০০১ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হেনলি অন টেমস আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন এ কনজারভেটিভ সদস্য। টেলিভিশন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সুপরিচিত হলেও জনসনের রাজনৈতিক উত্থান মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না।

স্পেকটেটরের একটি সম্পাদকীয় প্রকাশের জেরে তাকে লিভারপুল সিটির কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল; এক সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে ছায়া শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য এর কোনোটিই ২০০৫ এর নির্বাচনে তার ফের জয়ী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

দুই বছর পর লন্ডনের মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জনসন। অপরাধ দূর ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আস্থা জিতে নেন ভোটারদের। সেবার লেবারের কেন লিভিংস্টোনকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যের রাজধানী জয় করে রক্ষণশীলদের মুখে হাসি এনে দিয়েছিলেন।

২০১২ সালের নির্বাচনে ফের লিভিংস্টোনকে হারিয়ে দলকে দিয়েছিলেন স্বস্তি; মধ্যবর্তী নির্বাচনে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে ৮০০-র বেশি আসন হারিয়ে কনজারভেটিভ পার্টি তখন হাঁসফাঁস করছিল।

২০০৭ সালে মেয়র নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগেই সংসদ সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছিলেন; আট বছর পর, ২০১৫ সালে পশ্চিম লন্ডনের উক্সব্রিজ অ্যান্ড সাউথ রুইস্লিপ আসনে জয়ী হয়ে ফের পার্লামেন্টে ঢোকেন জনসন। ১৯৯০ এর পর সেবারই কনজারভেটিভ পার্টি যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতাগ্রহণ করেছিল।

দুই মেয়াদের পর আর মেয়র নির্বাচনে দাঁড়াননি জনসন; তার বদলে থাকা কনজারভেটিভ প্রার্থীকে সহজেই হারিয়ে রাজধানী ফের বগলদাবা করে লেবাররা; মেয়র হন সাদিক খান।

যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কিনা, তা নিয়ে গণভোটের প্রচারে জনসনকে দেখা যায় ‘ব্রেক্সিটপন্থিদের’ অন্যতম প্রভাবশালী মুখপাত্র হয়ে উঠতে।

ইউরোপকে এক করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেষ্টাকে নেপোলিওন ও অ্যাডলফ হিটলারের চেষ্টার সঙ্গে তুলনা করেও বেশ সমালোচিত হন তিনি।

২০১৬-র ২৩ জুনের গণভোটে ৫২ শতাংশ ভোটার ‘ব্রেক্সিটের’ পক্ষে মত দিলে, ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেন।

অনেকেই তখন জনসনকেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখলেও তৎকালীন বিচারমন্ত্রী মাইকেল গোভসহ ঘনিষ্ঠ অনেকেই লন্ডনের সাবেক এ মেয়রের পাশ থেকে সরে যান।

জনসন সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না এবং ব্রেক্সিট সম্পন্নে কাজ করতে পারবেন না- এমন মন্তব্য করে গোভ নিজেই নিজের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।

ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজন প্রভাবশালী সাংসদও গোভকে সমর্থন দিলে শেষ পর্যায়ে প্রার্থীতাই প্রত্যাহার করে নেন জনসন।

পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ এবং রাজনীতিতে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা ক্যামেরন, জনসন ও গোভের ‘একে অপরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার’ এ চিত্রকে সেসময় শেকসপিয়ারের কাহিনীর সঙ্গে তুলনা দিয়েছিল ব্রিটিশ গণমাধ্যম।

টেরিজা মে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জনসন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৭ সালের জুনে আগাম নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর কনজারভেটিভ নেতৃত্বাধীন সংখ্যালঘু সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায়ও জনসনের পদ বহাল থাকে।

পরের বছরের এপ্রিলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের যৌথ বিমান হামলায় বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করলেও জনসন মে-কে অকুণ্ঠ সমর্থন দেন।

সিরিয়ার সাধারণ মানুষের ওপর সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে এমন অভিযোগে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সমর্থিত বাহিনীর ওপর তিন দেশ ওই বিমান হামলা করেছিল।

২০১৮ সালের মার্চে যুক্তরাজ্যে পক্ষত্যাগী এক রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়ের ওপর হামলায় ব্যবহৃত নার্ভ এজেন্ট ‘নোভিচক’ রাশিয়া থেকে এসেছিল- ব্রিটিশ সামরিক পরীক্ষাগারের উদ্ধৃতি দিয়ে করা জনসনের এমন মন্তব্য নিয়েও লন্ডনে উত্তাপ ছড়িয়েছিল।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরীক্ষাগার হামলায় ব্যবহৃত নার্ভ এজেন্টটি সোভিয়েত আমলের ‘নোভিচক’ হিসেবে চিহ্নিত করলেও, এটি যে রাশিয়া থেকেই এসেছিল এমন কিছু বলেনি।

সামরিক পরীক্ষাগারের বক্তব্যকে ভুলভাবে হাজির করে জনসন জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিলেন বলে বিরোধীরা সেসময় অভিযোগ করেছিল। পক্ষত্যাগী গুপ্তচর ও তার মেয়ের ওপর হামলার ওই ঘটনায় পরে লন্ডন কয়েক ডজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারও করে।

গত বছর থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের পন্থা নিয়ে মে-র সঙ্গে লন্ডনের সাবেক এ মেয়রের দূরত্বও দিন দিন স্পষ্ট হতে থাকে।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে ব্রেক্সিটের খুঁটিনাটি নিয়ে মে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে অবকাশযাপন কেন্দ্র চেকারে বসলে সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর নমনীয় অবস্থানের সঙ্গে অন্যদের বিরোধ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়।

৮ জুলাই মে-র মন্ত্রিসভার ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস পদত্যাগ করলে পরদিন একই পথ ধরেন জনসনও।

পদত্যাগপত্রে ব্রেক্সিট নিয়ে মে-র পদক্ষেপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মধ্যস্থতার পন্থারও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। জেরেমি হান্ট পরে জনসনের স্থলাভিষিক্ত হন।

দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা জনসন প্রথমে ১৯৮৭ সালে অ্যালেগ্রা মস্টিন ওয়েনকে বিয়ে করলেও তাদের সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

১৯৯৩ সালে জনসন আইনজীবী মেরিনা-হুইলারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। জনসনের ৪ সন্তানের মা-ই মেরিনা। দুই যুগ পর গত বছর এ দম্পতি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

প্রবন্ধ সংকলন ‘লেন্ড মি ইউর ইয়ারস’ ছাড়াও জনসন উপন্যাস ‘সেভেন্টি টু ভার্জিনস’ ও রোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস নিয়ে ‘দ্য ড্রিম অব রোম’ লিখেছেন। ২০১৪ সালে ঝুলিতে যুক্ত করেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে নিয়ে লেখা ‘দ্য চার্চিল ফ্যাক্টর: হাউ ওয়ান ম্যান মেইড হিস্টরি’ বইটিও।

 

সিলেট৭১নিউজ/২৪জুলাই/বুধবার/এআ





Calendar

November 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd