ক্রীড়া ডেস্ক :: দৌড় উসাইন বোল্টকে হার মানানোর মতোই ছিলো। কিন্তু নিউজল্যান্ডের কাছে তার রেস হেরে গেছে। জেমস নিশামের থ্রো ঠিকভাবেই বোলার বোল্ট ধরে স্ট্যাম্প স্পর্শ করে দলকেও টিকিয়ে রাখলেন। ইনিংসের শেষ ওভারে ২ রান দরকার ছিলো ইংল্যান্ডের। স্টোকস মিড অনে ঠুকে দিয়ে দুই রান নিতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। দৌড়ে পারেননি নন স্ট্রাইকে থাকা আরেক ব্যাটসম্যান মার্ক উড। এক রান বৈধ হলে খেলা হয়ে যায় ড্র। তাতে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভার-
আাগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে নামেন দুই বিধ্বংসী জস বাটলার ও বেন স্টোকস। অপরদিকে বল হাতে আসেন নিউজিল্যান্ডের অন্যতম পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান তাকে মোকাবেলা করে সুপার ওভারে তোলেন ১৫ রান। আর তাতে নিউজিল্যান্ডর জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ রান।
লক্ষ্য পাড়ি দিতে ব্যাট হাতে নামেন দুই কিউই ব্যাটসম্যান মর্টিন গাপটিল ও জেমস নিশাম। আর বল হাতে আসেন ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার। বল হাতে ওয়াইড দিয়ে শুরু করেন। প্রথম বলে বলে দুই রান নিলেন নিশাম। তৃতীয় বলে ছক্কা। পরের বলে আবার দুই। চতুর্থ বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান লাস্ট দুই বলে দরকার ৩ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে এক রান নিতে পারেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। হিসেব দাঁড়ায় শেষ বলে ২ রান। গাপটিল মেষ বলে কাউ কর্নারের দিকে ঠেলে দিয়েছেন কিন্তু দুই রান নিতে পারেননি। রয়ের থ্রোতে উইকেটরক্ষক বাটলার স্ট্যাম্পে বল লাগাতে ভুল করেননি। এক রান নিতে সক্ষম হয় কিউই ব্যাটসম্যানরা। আউট হন গাপটিল। খেলা ড্র হয়ে যায় এক রান নেয়ার সুবাধে।
কিন্তু মূল খেলায় বাউন্ডারি গণণায় ইংল্যান্ড ছিলো কিউইদের থেকে এগিয়ে। ম্যাচে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় মোট বাউন্ডারি পায় ১৬টি। অন্য দিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কায় মারে ইংল্যান্ড। যে কারণে সুপার ওভারের নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।