গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :: গোলাপগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলুর সড়ক উন্নয়নের নাম ফলক অপসারণের অভিযোগ উঠেছে বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল বিরুদ্ধে। এতে পৌরসভাসহ উপজেলা জুড়ে বইছে সমালোচনার ঘড়। একই সাথে কয়েকযুগ পূর্বে স্থাপিত ইনাম আহমদ চৌধুরীর নামে অপর একটি উন্নয়নফলক ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাস্তার প্রসস্থ বৃদ্ধির নামে নামফলক গুলো অপসারণ বিষয়ে স্থানীয় অধিবাসীরা বিরূপ মন্তব্য করেছেন। স্থানীয়দের দাবী- হিংসাত্মক মনোভাব থেকেই নামফলকগুলো অপসারণ করা হয়েছে। যদি দায়িত্বশীলদের মনোভাব পরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে তারা পুনরায় নামফলক প্রতিস্থাপন করবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে গোলাপগঞ্জ বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ আহমদ খান সড়কে জাকারিয়া আহমদ পাপলুর ক্ষমতাকালীন সময়ে উন্নয়ন কাজ করা হয়েছিল । সেসময় রাস্তাটি চৌমুহনী থেকে সুরমা নদীর আউটপুল পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে আরসিসি ঢালাই এবং রাস্তায় জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে ড্রেনেজ নির্মাণ করা হয়। রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ শেষ হলে শহরের চৌমুহনীতে একটি নাম ফলক নির্মাণ করে তৎক্ষালীন পৌরমেয়র উদ্বোধন করেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় চৌমুহনী থেকে বিদ্যুতের পুরাতন খুটি সড়ানোর সময় নাম ফলকটি ভেঙে ফেলা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, প্রতিহিংসা থাকলে জনসেবা করা যায় না। জনগণের নিরলস প্রতিনিধি হতে চাইলে উগ্র ও হিংস্র মনোভাব দূর করতে হবে। সেজন্য সাবেক মেয়রের উন্নয়নের ফলকটি ওই স্থানের সুবিধাজনক জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হোক।
সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু বলেন, এটা দুঃখজনক একটি ঘটনা। তিনি (মেয়র রাবেল) নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনেকেই প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছেন । তারই ধারাবাহিকতায় আমার করা রাস্তার উন্নয়নফলকটি ভাঙা হয়েছে। বিষয়টি পৌরবাসী বিবেচনা করবেন। বিচারের ভার আমি তাদের উপর ছেড়ে দিলাম। একই সাথে নামফলকটি প্রতিস্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। এবং পরে মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে তাঁর কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। যার কারণে এ ঘটনার সাথে তাঁর কিংবা পৌরসভার সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগটির বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।