সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক: জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২১ এপ্রিল পবিত্র শব-ই-বরাত পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান তিনি।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কমিটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সভা করে প্রথমে শরিয়তের আলোকে বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করে। এরপর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুজন কর্মকর্তার মাধ্যমে যাঁরা চাঁদ দেখেছেন বলে দাবি করেছেন, তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তাঁরা সাক্ষ্য দিতে না এসে অপ্রাসঙ্গিক কিছু শর্ত জুড়ে দেন। বিষয়টি সভাকে জানানো হলে সভার সদস্যরা ওই শর্তগুলো শরিয়তের সাক্ষ্য প্রদানের নিয়মবহির্ভূত আখ্যা দিয়ে নিয়ম অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে সাক্ষ্য দিতে আবারও অনুরোধ করেন। কিন্তু তখনো তাঁরা সাক্ষ্য দিতে আসেননি। বরং আগের মতো অপ্রাসঙ্গিক শর্ত জুড়ে দেন, যা ইসলামি শরীয়াহবহির্ভূত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন চাঁদের বিষয়টি সম্পূর্ণ একটি দ্বীনি বিষয়। এ ব্যাপারে ইসলামি শরিয়াহর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যেহেতু সাক্ষীরা সাব–কমিটির অনুরোধের পরও সাক্ষ্য দিতে সভায় উপস্থিত হননি, বরং সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য এমন কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, সেভাবে সাক্ষ্য গ্রহণের শরিয়তের কোনো ভিত্তি নেই। তাই চাঁদ দেখার কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য না পাওয়ায় সাব–কমিটির সভায় ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ৬ এপ্রিল ঘোষিত সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। অর্থাৎ পয়লা শাবান ৮ এপ্রিল থেকেই শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো এবং ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র বরাত পালিত হবে।
এর আগে, শবেবরাত নিয়ে বিতর্ক গড়ায় উচ্চ আদালতে। যদিও ধর্মীয় বিষয় হওয়ায় রিটের অনুমতি না দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আবেদন করতে বলেছেন উচ্চ আদালত। ইফার গঠিত তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন আদালত। ২০ এপ্রিল নাকি ২১ এপ্রিল শবেবরাত পালন করা হবে এ বিষয়ে কাজ করছে ১০ সদস্যের কমিটি।
গত ৬ এপ্রিল চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ২১ এপ্রিল রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে শবেবরাত পালনের সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন। কিন্তু একপক্ষের দাবি ঐদিন চাঁদ দেখা গেছে ফলে শবেবরাত হবে ২০ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাতে।
শবেবরাত কবে পালন করা হবে এ নিয়ে আলেম-ওলামাদের বিতর্ক গড়িয়েছে উচ্চ আদালত পর্যন্ত। যদিও আদালত এ আবেদনটি আমলে না নিয়ে রিটকারীদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনে যেতে বলেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, বিষয়টি সুরাহার জন্য ১০ সদস্যের একটি কমিটি কাজ করছে। এছাড়া ধর্মীয় বিষয় হওয়ায় এ পর্যায়ে হস্তক্ষেপ করতে চাননি উচ্চ আদালত।