ডেস্ক নিউজ : সিলেটের শাহপরান গেইট এলাকায় এক স্কুলের ৫ম শ্রেণির ১১ বছরের শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সুরত আলী(৭৭)’র বিরুদ্ধে একটি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার পর থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে রক্ষা পেতে এলাকার একটি কুচক্রী মহলকে নিয়ে একটি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন সুরত আলী। নির্দোষ দাবি করে শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশানর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, সুরত আলী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার থেকে সিলেটে ভিক্ষা করতে এখন সে বর্তমানে সিলেটের শাহপরান থানাধীন ইসলামাবাদে নিজস্ব বাসা বাড়ির মালিক। সুরত আলী জিরো খেকে হিরো হওয়ার পিছনে যা অবৈধ পন্তা অবলম্ভন করেছেন তা অচিরেই বেরিয়ে আসবে। ওই শিশুকে ধর্ষণের পর থেকে সুরত আলীর সকল অপকর্ম সাংবাদিকদের কাছে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তার নিজ ছেলে মিজানুর রহমান এলাকার এক চিহ্নিত সন্ত্রাসী। বিদায় সুরত আলীর বিরুদ্ধে এলাকার কোন লোক কথা বলতে সাহস পায়নি।
নাধীন ছড়ারপাড় এলাকার ৭৭ বছরের বৃদ্ধ সুরত আলীর বিরুদ্ধে এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাকে রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার কেরনি পুলিশ। সর্বশেষ গত (৩১ মার্চ) রোববার শাহপরান গেইট এলাকার এক স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে সুরত আলীর। এই ধর্ষণের ঘটনায় সুরত আলীর বিরুদ্ধে শিশুর পরিবারের পক্ষে শাহপরান থানায় একটি ৪ -৪/০৪/২০১৯ নং মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় এলাকাবাসী শাহপরান গেইটে ধর্ষক সুরত আলীর শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা কলেন, সুরত আলী একজন চরিত্রহীন লম্পট তার বিরুদ্ধে অনেক শিশু ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তুু কোন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে পারেনি। মামলা করার আগেই থানায় চলে যান প্রভাবশালী নেতারা। তারা সুরত আলীকে বাচাঁনোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জবরুল হোসেন, ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য কবির আহমদ, ইসলামাবাদ জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী আব্দুল খালিক, ইকবাল হোসেন শামিম, জামিল আহমদ, আফসার আহমদ, মান্না আহমেদ, সুব্রতচন্দ্র, সাদ্দাম, মামুন আহমদ, হেলাল আহমদ, সোহেল আহমদ, আনহার আহমদ, সাইম আহমদ, ফরিদ আহমদ, রাজু।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুরত আলী গত (৩১ মার্চ) রোববার বিকেলে শিশুটি ঘরের পাশে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলছিল। তখন সে ওই ১১ বছরের শিশুকে তেতুল খাওয়ানোর কথা বলে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় শিশুর আর্তচিৎকারে অন্যান্য শিশুরা এগিয়ে গেলে বৃদ্ধকে উলঙ্গ অবস্তায় দেখতে পান তারা। পরে সুরত আলী সাথে সাথে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। বৃদ্ধ সুরত আলী শিশুর পাশের বাসার কেয়ারটেকারের কাজ করে ও শাহপরান ছড়ারপাড় এলাকার স্থায়ী বাসিন্ধা। সুরত আলীর মূল বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা সে সিলেটের এসে এক সময় ভিক্ষা করতো। বর্তমানে সিলেটের শাহপরান ছড়ারপার এলাকার বাসাবাড়ির মালিক।
শিশুটির চিৎকার ছোটে যান তার ‘মা’ তিনি মেয়ে এই অবস্তা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে শিশুর পিতাকে খরব দেন পিতা মেয়ে আহতাবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
এই ধর্ষণের ঘটনায় শিশুর পরিবারের পক্ষে মামলা দায়েরের বিষয়টি শাহপরান থানার ওসি আক্তার হোসেন নিশ্চিত করেন।