সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক ::ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ গতকাল রোববার তার দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, মিলাদ ও ক্বিয়ামকে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
রাসূল (সা.)-এর শানেই মিলাদ ও ক্বিয়াম পড়া হয়ে থাকে। এ জন্যই মিলাদ ও ক্বিয়াম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ এবাদত। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৬ সনে টংগীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে অনেকেই যেতে সাহস করিনি। সে সময়ে আমি বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেও মিলাদ-ক্বিয়াম পড়েছি। মরহুম বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেছি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান ও ইফার ডিজি। গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইফা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে মিলাদ ও ক্বিয়াম সর্ম্পকে বিরুপ মন্তব্য করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি ফেইস বুকে এমন ডাহা মিথ্যা তথ্য প্রকাশের আমি তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ইবলিশের দোসররা এমন মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে।
আল্লাহপাক এসব পথভ্রষ্টকে হেদায়েত দান করুন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি সর্ম্পকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত মাসের শেষের দিকে আমার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সউদী আরব সফরকালে সউদী হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা কালে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য দাবী-দাওয়া মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জেদ্দা বিমান বন্দরে হজযাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে চলতি বছর ঢাকা থেকেই প্রি-ডিপারচার ইমিগ্রেশন চালুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করে গেছেন।
আরেকটি কারিগরি দল আগামী ৬ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবেন। গতকাল পর্যন্ত সরকারী হজযাত্রীর নিবন্ধন ৬ হাজার ৫৭ জন এবং বেসরকারী হজযাত্রীর নিবন্ধন ৭৫ হাজার ৫২ জনের সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া ২০ হাজার হজযাত্রী অতিরিক্ত নতুন কোটা বরাদ্দের প্রস্তাব সউদী বাদশাহ’র বিবেচনায় রয়েছে বলেও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমকে আরো বেশি ভালো করার জোর প্রচেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনিদের্শনায় সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে । সউদী আরব সফরকালে সউদী মুয়াসসাসার চেয়ারম্যানের সাথে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিতর্কিত এক মহিলার (এক হজ এজেন্সীর মালিক) উপস্থিতি সর্ম্পকে একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐ মহিলার পরিচয় জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বৈঠক থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
সুত্র: ইনকিলাব