সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমি লজিং থেকে পড়ালেখা করেছি। অনেক সময় কৃষিকাজ করেছি, দারিদ্র্যের কারণে অনেক পেশা বেছে নিয়েছি। গরিব হওয়ার কষ্ট আমি বুঝি। ২০৩০ সালে দেশে গরিব থাকবে না।
দেশ থেকে দারিদ্র্য তাড়াতে হবে। সবাই প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করলে আমরা ফেল করবো না।বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলন-২০১৯ এ অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যেভাবে ব্যাংকিং খাত চালাচ্ছি, এভাবে চালালে চলবে না। এভাবে চললে কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ স্বল্পমেয়াদি আমানত গ্রহণ করে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়া যেতে পারে না। এর মাধ্যমে যারা উন্নয়নের চিন্তা করে তারা বোকার রাজ্যে রয়েছে।
এজন্য বন্ড মার্কেটে জোর দিতে হবে। অর্থমন্ত্রী দেশের ভালো প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বপ্রথম প্রাণকে দিয়েই বন্ডের বিনিয়োগ শুরু করার কথা জানান। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার পরামর্শ দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের ট্যাক্সের পরিধি আরও বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে যারা কর প্রদান করে তারাই বারবার প্রদান করে আসছেন। নতুন করে ট্যাক্সের আওতায় আসার উপযোগী অনেকে এ তালিকার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন না।
আগামীতে কর না বাড়িয়ে আওতা বাড়াবো।অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, ব্যাংকের পরিচালক কাশেম হুমায়ূন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকটির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম। তিনি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ২০১৮ সাল শেষে অগ্রণী ব্যাংকের আমানত দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা।
এ সময় ঋণ ও অগ্রিম এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। শ্রেণিকৃত ঋণ (খেলাপি ঋণ) দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ। আলোচিত সময়ে এর শাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫২টিতে।