এমন এক সময়ে প্রিন্সেস রিমা যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলেন যখন খাশোগি হত্যাকাণ্ড ও ইয়েমেন যুদ্ধের মতো নানা ইস্যুতে মার্কিন মুলুকে চাপের মুখে রয়েছে রিয়াদ। খাশোগি হত্যকাণ্ডের অধিকতর তদন্তের জন্য হোয়াইট হাউসকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন বন্ধের পক্ষেও মত দিয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মার্কিন সিনেটর।
প্রিন্সেস রিমা বিনতে বন্দর আল সৌদের বাবা বান্দার বিন সুলতান ছিলেন ১৯৩২ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করা বাদশাহ আবদুল আজিজের দৌহিত্র। তিনি ১৯৮৩ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত টানা ২২ বছর যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাবার চাকরির সুবাদে প্রিন্সেস রিমার শৈশবের একটা বড় অংশ কেটেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে।
জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে মিউজিয়াম স্টাডিসে স্নাতক প্রিন্সেস রিমা ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। বিশ্বখ্যাত খুচরাপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হার্ভি নিকোলস রিয়াদের সিইও ছিলেন রিমা।
নারী অধিকারের পক্ষে সরব প্রিন্সেস রিমা সৌদিতে নারীদের খেলাধুলার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কাজ করেছেন স্তন ক্যান্সারে সচেতনা বাড়ানোর মতো বিষয়গুলো নিয়ে।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে নাম ঘোষণার পর টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে সৌদি আরব, দেশটির নেতা ও শিশুদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন প্রিন্সেস রিমা।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু’র রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক বেসমা মোনামি আল জাজিরা’কে বলেন, দৃশ্যত সৌদি আরব এক্ষেত্রে জনসংযোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। খাশোগি হত্যাকাণ্ড, ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ার পর তারা এখন ভিন্ন দিকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে।