প্রতিকি ছবি
সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ৪৯ সেনা সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় চরম উত্তেজনায় বিরাজ করছে দেশটিতে। প্রতিশোধ ফুঁসছে গোটা ভারত।
এরই অংশ হিসেবে ভারতজুড়ে নিশানায় পরিণত হয়েছে কাশ্মীরি জনগণ।
দেশটির বিভিন্ন জায়গায় কাশ্মীরি জনগণ হামলার মুখে পড়ছে। ইতোমধ্যে হামলায় ৩৭ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় কাশ্মীরি শিক্ষার্থীরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ কাশ্মীরিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর কাছে ইতোমধ্যে বিশেষ নির্দেশ জারি করেছে।
দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার কারণে ছাত্রদের এবং জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যান্য বাসিন্দাদের হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এজন্য ভারতের সব রাজ্যে একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। যেসব কাশ্মীরি শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের সাহায্য করছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো।
খবরে বলা হয়েছে, ভারতের দেহরাদুনে স্থানীয় কিছু বাড়িতে ভাড়া থাকেন কিছু কাশ্মীরি শিক্ষার্থী। তারা অভিযোগ করেছেন, তাদের বাড়িওয়ালাদের ভাড়া তুলে দিতে বলা হয়েছে। একই রকম ঘটনার খবর আসছে হরিয়ানা ও বিহার থেকেও।
পাটনায়, কাশ্মীরের একজন ব্যবসায়ী বশির আহমেদ বার্তা সংস্থা এনডিটিভিকে বলেন, আমার দোকানের বাইরে কিছু মানুষ লাঠিসোটা হাতে জড়ো হন। তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখন আমি পুলওয়ামার আক্রমণ সম্পর্কে জানতামও না। কিন্তু ওরা আমার দোকানের জিনিসপত্র ধ্বংস করে দেয়, আমাকে, আমার কর্মচারীদের মারধোর করে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি গত ৩৫ বছর ধরে পাটনাতে কাজ করছি এবং কখনোই কোনও সমস্যা বা বৈষম্যের মুখোমুখি হইনি। প্রতি বছর ৬ মাস আমি এখানেই থাকি, এবং কাশ্মীরের চেয়েও পটনা বেশি ভালো লাগে। আমার রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই। আমি কাজেই এত ব্যস্ত থাকি যে খবর শোনার সময়ও হয় না।’
অন্যদিকে, জম্মুতে, কয়েক ডজন গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। তৃতীয় দিনে পড়ল এই শহরের কারফিউ পরিস্থিতি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে