ডেস্ক::চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চাকরি দেয়ার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে রুমা আকতার (২১) নামে এক এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালী থানাধীন নিউমার্কেট মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়।
রুমা আকতার ভোলা জেলার লালমোহন থানার গজায়রা এলাকার মো. রফিকের মেয়ে। তিনি কর্ণফুলী থানার বোটবাজার এলাকার আব্বাস কলোনিতে থাকতেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, রুমা আকতার নিজেকে চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছেন। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে কয়েকটি অ্যাপ্রোন, চিকিৎসার সরঞ্জাম ও চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, রুমা আকতার সম্প্রতি চাকরি দেয়ার নামে আবিদা বেগমসহ (৩৪) কয়েকজন নারীর কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। কিন্তু টাকা নিয়ে রুমা গা ঢাকা দেন। পরে আবিদা বেগম বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
সোমবার দুপুর দুটার দিকে আবিদা বেগমের ভাগ্নে ফয়সাল বিন মান্নান রুমা আকতারকে ফোন করে নিউমার্কেট এলাকায় আসতে বলেন। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় রুমা আকতার আসলে অন্য চাকরিপ্রত্যাশীরা সেখানে উপস্থিত হন।
বিষয়টি টের পেয়ে রুমা পালানোর চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে রুমা আকতারকে আটক করে।
ওসি আরও বলেন, চমেক হাসপাতালে নার্সিং পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রুমা আকতার ২০ থেকে ৩০ জন আগ্রহীর কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রতারণা কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার সকালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় আলোচিত ভুয়া চিকিৎসক মাসুদ করিম।
তিনি অন্য ব্যক্তির সনদ ও বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে পাবনা শহর এবং জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা বাণিজ্য করছিলেন।
ভুয়া এই চিকিৎসকের চিকিৎসা বাণিজ্য নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তরে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তিনি পাবনা থেকে পালিয়ে যান।
গ্রেফতারকৃত ভুয়া চিকিৎসকের আসল নাম মাসুদ রানা। পিতার নাম আব্দুল হান্নান। বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাতিখানা পাড়া গ্রামে।
তিনি ঢাকার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মাসুদ করিমের নাম, সনদ ও নিবন্ধন নম্বর নকল করেছিলেন।