সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সিলেট এমসি কলেজ শিক্ষার্থী অনন্যা দে আঁখির জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর করা আবেদনপত্র এখন মৌলভীবাজার-১ আসনের এম.পি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের দপ্তরে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে।
অনন্যার পিতা অরুণ কান্তি দে সাক্ষরিত আবেদনের সাথে বড়লেখা ছাত্রকল্যাণ সংঘ সিলেট ও এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের করা আবেদনের ফাইলটি গত ৪ জানুয়ারি পরিবেশ মন্ত্রীর হাতে হস্থাান্তর করেন বড়লেখা ছাত্রকল্যাণ সংঘ সিলেট’র সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাবু।
পরিবেশ মন্ত্রীর এপিএস কবিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, যেহেতু অনন্যা আমাদের মন্ত্রী মহোদয়েরই এলাকার মেয়ে এবং তিনি নিজেই হাসপাতালে অনন্যাকে দেখে এসেছেন সেহেতু ‘প্রপার উয়ে’তেই ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ করবেন। তাছাড়া অনন্যার সাহায্যের ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।
আবেদন হস্তান্তর বিষয়ে কামরুল ইসলাম বাবু বলেন, আমরা সর্বপ্রথমই পত্রপত্রিকার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। পরে আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী জনাব শাহাব উদ্দিন মহোদয়ের আশ্বাস পেয়ে সকল কাগজপত্র ও অনন্যার বাবার স্বাক্ষরিত আবেদনটিও প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরণের জন্য সচিবালয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের হাতে হস্থান্তর করেছি। তিনি নিজেই ফাইলটি প্রসেস করে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ভালো একটা সাহায্য করাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তা একটু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন।
অনন্যার বাবা অরুণ কান্তি দে বলেন, আমি ৭০ দশকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে মাঠে ময়দানে কাজ করেছি, নির্যাতিত হয়েছি। আমি এখন হৃদরোগে আক্রান্ত। আমার হার্টে অপারেশন হয়েছে। এমতাবস্থায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সহযোগিতা ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টিই পারে আমার মত অসহায় বাবার মেয়েকে বাঁচাতে। আমার আবেদনটি যেনো মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে এবং একটা ব্যবস্থা হয়। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি সিলেট বিমানবন্দর সড়কে মারাতœক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অনন্যার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা এপোলো হাসপাতালের অনন্যার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকবৃন্দ। তাছাড়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও অস্ত্রোপচার হয়ায় তার সুস্থতায় প্রচুর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এই ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সকলের সাহায্যের হাত অব্যাহত রাখার আবেদনও জানিয়েছেন অনন্যার বাবা ও সংশ্লিষ্ট সকলেই।