সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: একাদশ সংসদের কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনের উপ নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোটবোন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি।
রোববার কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছন। তিনি জানান, দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি জানানো হবে।
রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল আসনটিতে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক দোলন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি, ৩ ফেব্রুয়ারি বাছাই আর ১০ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী হিসেবে জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মো. মোস্তাইন বিল্লাহ মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর পর ৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সরাওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাকিয়া নূরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে গণতন্ত্রী পার্টি ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র কাগজপত্রে কিছু ভুলত্রুটির কারণে বাতিল করেন।
পরে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ। প্রার্থিতা ফিরে পেলেও শেষ মুহূর্তে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ আসন থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো জয়ী হন। কিন্তু শপথ নেওয়ার আগে গত ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে আসনটিতে শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে।