লাইব্রেরির সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলতে জীবনে সফলতা অর্জন সম্ভব
—এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম
সারাদেশের ন্যায় সিলেটে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ২য় জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়েছে। ‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি আলোকিত মানুষ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সিলেট বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় সরকারী গণগ্রন্থাগার সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট বিভাগীয় সরকারি গ্রন্থাগারের প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান কাম-উপ-পরিচালক মো: শওকত আলী’র সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী ্এমদাদুল ইসলাম বলেন, জ্ঞানই আলো, এই মূল্যবান সম্পদ আহরণ ছাড়া জীবনের উন্নয়ন সম্ভব নয়। জ্ঞান আরোহনের জন্য বেশি করে পাবলিক লাইব্রেরীতে যেতে হবে। লাইব্রেরির সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলার মাধ্যমে জীবনে সফলতার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। সিলেট বিভাগীয় সরকারী গ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক দিলীপ কুমার সাহার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এডিসি(শিক্ষা ও আইসিটি) মো: আসলাম উদ্দিন, সাংবাদিক কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মন। টেকনিক্যাল সহকারী মো: মাসুদ রানার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূইয়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার অসিত রঞ্জন দাস প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা শিশু একাডেমির সাবেক সংগঠক মাহবুবুজ্জামান চৌধুরী, তাতীকোনা আজিজ বাড়ি নূর স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গফফার উমরা মিয়া প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ মো: বদরুল ইসলাম ও গীতা পাঠ করেন জুঁই তালুকদার। অনুষ্ঠানের শেষে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রচনা ও বই পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।