সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: স্মরণশক্তি আল্লাহতায়ালার অপরিসীম দান। তবে প্রত্যেক মানুষের স্মরণশক্তি সমান নয়। স্মরণশক্তির কমবেশ মহান আল্লাহতায়ালার কুদরতের রহস্য বিশেষ।
স্মরণশক্তির জোড়ে মুখস্থ করার মতো অস্বাভাবিক নানা ঘটনার কথা প্রায়ই শোনা যায়। যা স্বাভাবিকভাবে বেশ কঠিন ও কষ্টসাধ্য কাজ। এমনই এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে কুমিল্লার ৯ বছরের শিশু মো. রাফসান মাহমুদ জিসান।
মাত্র ৪৯ দিনে পুরো কোরআনে কারিম মুখস্থ করেছ সে। কুমিল্লা শহরের ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিফজ বিভাগ থেকে সে এ কীর্তি গড়েছে।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের প্রবাসী বাহার উদ্দিনের ছেলে রাফসান।
শনিবার রাতে রাফসানের হিফজ বিভাগের শিক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, রাফসান দেশের বিস্ময় বালক। তার মেধা সাধারণের চাইতে অনেক বেশি। রাফসান ৪৯ দিনে কোরানের ৩০ পারাই মুখস্ত করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরের ২ তারিখে রাফসানকে কোরআন শরিফের ৩০ তম পারা মুখস্ত করতে দেই। দিন শেষে রাফসান গড়গড় করে ৩০তম পারাটি মুখস্ত বলে দেয়। এতে অবাক হলেও হয়ত আগে থেকেই পারাটি তার মুখস্ত ছিল ভেবে পরের দিন আবার তাকে প্রথম পারা মুখস্ত করতে দেই।
একইভাবে সে দ্রুত ওই পারাটিও সবক দিয়ে দেয়। এভাবে কোরআনের পাঁচটি পারা কয়েক দিনের মধ্যে মুখস্ত করে দিলে আমরা নিশ্চিত হই যে রাফসান আর সব শিশু থেকে আলাদা। তার মুখস্তবিদ্যা প্রখর।
এভাবে প্রতিদিনই এক পারা করে মুখস্ত করে যেতে থাকে ও পেছনের আয়াতগুলো ঝালিয়ে নিতে থাকে রাফসান। রাফসানের এখন পুরো কোরআন শুনানি চলছে বলে জানান শিক্ষক জামাল উদ্দিন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাফসানের মা শাহিনা আক্তার ২০১৭ সালে ছেলেকে নুরানি দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি করে। এক বছর রাফসান প্রথম শ্রেণির বই পড়ার সঙ্গে দেখে দেখে কোরআন পড়া শেষ করে। এর পরই ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তাকে একই বিদ্যালয়ের হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২৯ দিনে কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছিলেন জুয়াইরিয়া নামের এক পাকিস্তানি তরুণী। লাহোরের গাজিয়াবাদ কলেজের ছাত্রী জুয়াইরিয়া কলেজ ছুটির ফাঁকে কোরআন মুখস্থ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন।