সিলেট:: সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা একটি চমকপ্রদ রোবট তৈরি করেছেন যেটি বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে এমনকি দূর মঙ্গলগ্রহেও কাজ করতে সক্ষম। রোবটটি তৈরি করেছেন উক্ত বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ প্রবাল এবং ফাহিম আহমদ হামীম। এ ব্যাপারে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান যে, অনেক দিন ধরে বিজ্ঞানীরা মানুষ বসবাসের জন্য পৃথিবীর বাইরে বিকল্প একটি আবাসস্থল খুঁজে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে আমরা এই “মারস্ রোবার” রোবটটি বানাই। যেটিকে পৃথিবীতে বসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালানো যাবে। রোবটে ৪টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়ছে যা দিয়ে মঙ্গলে স্থাপিত হলেও রোবটের সকল কর্মকান্ড পৃথিবী থেকে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এই রোবটের প্রধান কাজ হচ্ছে- মাটি, পাথর ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ভিন্ন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধান, আশপাশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি। এই কাজগুলো করার জন্য রোবটটিতে বিভিন্ন ধরনের সেন্সর আছে যেমন- গ্যাস, টেম্পারেচর, সোনার, ম্যাজারিং, ওয়েট সেন্সর ইত্যাদি। এই ব্যাপারে লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক রুমেল এম.এস. রহমান পীরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন ‘এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বরাবরই গবেষণায় ভালো করে আসছে। এর আগে ইমতিয়াজ ও ফাহিম ভারতের চেন্নাইতে অনুষ্ঠিত “ইন্ডিয়ান রোবারস্ চ্যালেঞ্জ ২০১৮”- এ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় স্থান এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। তাছাড়া দেশে অনুষ্ঠিত অনেক রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় তারা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর পৃষ্টপোষকতায় ও উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় এই বিভাগের শিক্ষকদের উৎসাহ ও সঠিক দিকনির্দেশনা তাদের ভালো কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমি ইমতিয়াজ ও ফাহিম-এর সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি’। এই প্রজেক্টে সুপারভাইজার ছিলেন ইইই বিভাগের প্রভাষক জনাব আশরাফুল ইসলাম রাকিব এবং কো-সুপারভাইজার ছিলেন প্রভাষক জনাব আবু শাকিল আহমেদ। এখানে উল্লেখ করা যায় যে, লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টকে ইতিপূর্বে আই.কিউ.এস.ই ‘ভেরী গুড’ হিসেবে মার্কিং করে গেছে। সাতটি আলাদা ল্যাবরেটরী নিয়ে গঠিত এই ডিপার্টমেন্টের ক্লাস ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সমতুল্য। এই বিভাগের অসংখ্য শিক্ষার্থী বর্তমানে স্কলারশীপ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন ও গবেষনা করছেন।