সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:গ্রামের একাকি একটি বাড়িতে থাকেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা এই মা । বিত্তবান ও বিসিএস ক্যাডার উচ্চশিক্ষিত ছেলেরা থাকেন বউ নিয়ে যার যার নিজস্ব বাসায়। মেয়েরা থাকেন স্বামীর বাড়ি। কিন্ত মায়ের স্থান হয়নি কারো কাছেই।
গ্রামের বাড়িতে ছোট্ট একটি ঘরে অনাহারে, অর্ধাহারে, অযত্ন আর অবহেলায় মৃত্যমুখে মা। দেখারও কেউ নেই।ফেনী পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড মধুপুর থেকে মৃদুল সাহা নামের এক বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারী) বিকেলে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পোদ্দার বাড়ির ওই বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে। এমন ঘটনায় স্থানীয়রা ঘৃণা জানায় উচ্চশিক্ষিত এই পরিবারকে।
ফেনীর সিভিল সার্জন হাসান শাহরিয়ার করিব জানান, বৃদ্ধা মা ভবিষ্যতে স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগে পড়তে পারেন। তাকে অবজারবেশনে রাখা হয়েছে।পুলিশ সুপার এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, এই বৃদ্ধা মাকে সন্তাররা মেরে ফেলার চক্রান্ত করছিল কি না তা দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।পরে ওই মায়ের দেখাশুনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে ফেনীর সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সহায়’।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের প্রধান সমন্বয়ক মঞ্জিলা আক্তার মিমি বলেন, অসহায় মায়ের পাশে আছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের সদস্যরা। সার্বিক দেখাশুনা মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।চিকিৎসার ভার গ্রহণ করেছেন ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ও জেলা পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
অপর ছেলে সুশান্ত সাহা বিসিএস ক্যাডার। থাকেন কক্সবাজার (অতিরিক্ত উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কক্সবাজার)। মেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শর্বরী সাহা ও গৃহিনী সুমি সাহা থাকে শ্বশুরালয়ে।এদিকে মায়ের প্রতি সন্তানদের এমন অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে।অপরদিকে একাধিক উপায়ে চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে সন্তানদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্তানদের আটক করেছে পু্লিশ। অবশ্য পুলিশ আটকের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে কিছু জানায়নি।