বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় কনস্যুলেট অফিসে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন এবং জাতিসংঘে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম তাদের গান, কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প ও নাটক রচনার মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করেছেন। তাদের কবিতা ও গান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক উৎসাহ যোগায়।
স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন তার বক্তব্যে বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম এর অসাধারণ সাহিত্য কর্মের উল্লেখ করে বলেন, যে সমস্যা সংকুল পৃথিবীতে তারা শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছেন। সার্বজনীনতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা তাদের লেখায় পরিস্ফুট হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সারাবিশ্বে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা এবং জঙ্গীবাদের মোকাবেলায় তাদের লেখনীর চেতনা খুবই প্রাসঙ্গিক বলে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান, এনডিসি। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের অবদান সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
সাংবাদিক ও কলামিস্ট হাসান ফেরদৌস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের জ্ঞানসমৃদ্ধ সাহিত্যকর্ম আধুনিক যুগে জ্ঞানচর্চার পাথেয় বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সংগীতশিল্পী কাদেরী কিবরিয়ার গান পরিবেশনা। আমন্ত্রিত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।