সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে ঘরছাড়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক একজন যুবলীগ নেতা। তার নাম জাকারিয়া আহমদ জাকির তাপাদার। তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকার কসকনকপুর গ্রামের মরহুম আব্দুস ছবুর তাপাদারের ছেলে।
জাকারিয়া আহমদ জকিগঞ্জ উপজেলা ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে সিলেট জেলা যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী তিনি।
জানা যায়, যুবদলের একজন ক্যাডার ‘কালা’ সুমন কিছুদিন পুর্বে ফেসবুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন জাকির। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার পরামর্শে ঢাকা সাইবার ক্রাইম কাউন্টার টেরোরিজমের বিশেষ সহযোগিতায় আসামী শনাক্ত করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭/২ ধারায় ‘কালা’ সুমনের বিরুদ্ধে ঢাকা পল্টন থানায় মামলা করা হয়। মামলা নং- ৪৬/৪০৩। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ সুমনকে গ্রেফতার করে। ৯ সেপ্টেম্বর আসামী কালা সুমনকে গ্রেফতার করে। আর ১০ সেপ্টেম্বর সুমনকে নিয়ে ঢাকায় রওয়ানা দেওয়ার ৩০ মিনিট পর সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে যুবলীগ নেতা জাকিরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। দক্ষিণ সুরমা থানায় জাকিরের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা হয়। যার ধারা ১৭০ (৪১৯)। বিজ্ঞ আদালত সেই মামলা থেকে জাকিরকে জামিন দেন ও রিমান্ড না মঞ্জুর করেন। এরপর জাকির জাতির পিতার বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৭/৪৮৪, তাং- ৭.১০.২০১৮। মামলায় আসামীরা হলেন, ইফতেখার আহমদ সুমন, কয়ছর আহমদ, কবির আহমদ ও আলী হোসেন। তাছাড়া নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি জিডি করেন জাকির। নং-১৫৩০। ২২ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ উক্ত আসামীদের ধরতে গেলে তারা পাল্টা হামলা চালায়। হামলায় পুলিশ সহ জাকির আহত হন। তারপরও পুলিশ দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। আহত জাকিরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাকির প্রতিহিংসামূলক মামলা থেকে মুক্তি পেতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন সহ সরকারের উর্ধ্বতন মহলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।