তাহের আহমদ : চলতি মৌসুমে প্রায় মাস ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীত বেশ ভালই জেঁকে বসেছে। তবে সিলেটে শীত নেমেছে চলতি সপ্তাহ থেকে।আর গত সপ্তাহ থেকে সারাদিনই গরম কাপড়ে শরীর মুড়িয়ে চলাফেরা করতে দেখা গেছে নগরবাসীদের।শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বাজার। আজ মঙ্গলবার সারাদিনই শীতবস্ত্রের বাজারে ছিলো ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ- কেনাকাটা জমে উঠলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শীতবস্ত্রের দাম কিছুটা বেশি। তারা বলছেন, এবারের বাজারে শীতের কাপড়ের দাম বেশ চড়া। ফলে কাপড় পছন্দ হলেও দামের সঙ্গে মেলানো যাচ্ছে না বাজেট।
অপরদিকে ভিন্ন কথাই বলছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন প্রতি বছরের তুলনায় সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শিতের কাপড়।
মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দর বাজার, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক এমনটাই জানা যায়।
নগরীর জিন্দাবাজার থেকে শুরু করে ক্বীনব্রীজ পর্যন্ত বিভিন্ন দেয়াল ঘেঁষে ফুটপাতে বাহারী রকমের শিতের কাপড় সোয়েটার, জ্যাকেট, হাতমোজা, ট্রাউজার, চাদর, মেয়েদের জ্যাকেট, হাফ সোয়েটার থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অনেকে সুর করে ডাকছেন। অনেকে ফুটপাতে এক দরে বিক্রি করছেন জ্যাকেট-সোয়েটার। মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিল বেশি আর মধ্যবিত্ত ও নি¤œ আয়ের কর্মব্যস্ত মানুষদেরই বেশি কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। শীত বাড়ায় সুযোগে দোকানিরাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনেক ক্রেতার অভিযোগ, তিনশ’ টাকার জ্যাকেট এবার হাজার টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। তবে কম্বলে বিক্রি কিছুটা কম । যে কম্বল গতবার বিক্রি হয়েছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকায়, তা এবার বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের এলাকায় ফুটপাতে কোট-ব্লেজার বিক্রেতা সায়মন মিয়া জানালেন, শীত বাড়ছে সঙ্গে বিক্রিও বাড়ছে। তবে শীত আরও বাড়লে বিক্রি ভালো হবে বলেও জানান তিনি।
শীতের প্রকোপ থেকে অসাহায় দরিদ্রদের সাহায্য করতে সমাজের বিত্তশালীদের অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাড়ানো উচিত বলে মনে করেন সুজনের ”সুশাসনের জন্য নাগরিক ” সিলেট জেলার সহ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং সকলকে তাদের পাশে এগিয়ে আসার জন্য আহবান করেন তিনি।