ছবি সংগ্রহ
সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমবায় মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে পারে। একটি বাড়ি একটি খামার একটি কার্যকর প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে হাজার হাজার মানুষ দারিদ্র্যের অতি দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছে। অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা হতদরিদ্রদের বা অতি দরিদ্রদের স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে পেরেছি।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪৭তম জাতীয় সমবায় দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্রামের অর্থনীতিকে সচল করতে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চালু করেছে সরকার, যার আওতায় সুফল পাচ্ছে ৩৮ লাখ ৮১ হাজার ২৪০টি পরিবার। জানান, দেশকে দারিদ্র্য থেকে উত্তরণেই তার সরকারের লক্ষ্য।’
পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্মিলিতভাবে টিকে থাকার প্রয়াসে প্রতিষ্ঠিত হয় সমবায় সমিতি। বর্তমানে দেশে এক লাখ ৭৪ হাজার নিবন্ধিত সমবায় সমিতি রয়েছে, যার সদস্য সংখ্যা এক কোটি ৯ লাখ। সমবায় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়কে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়।’ জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সমবায়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করার জন্য এই আন্দোলনকে দেশের কৃষিক্ষেত্রের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।’
সমবায়ের ভিত্তিতে চাষাবাদে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সমবায় ভিত্তিক কৃষির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের করা উচিত এজন্য যে, আজকাল সকলেই লেখাপড়া শেখে, চাকরি করে, দেশে-বিদেশে চলে যায়। জমি কিন্তু অনাবাদী পড়ে থাকে। আমাদের যেহেতু দেশের মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে হবে তাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে এই জমি যেন অনাবাদী পড়ে না থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে একটা নীতিমালা তৈরি করে আমরা যদি আমাদের সমস্ত জমি চাষ করতে পারি বা উৎপাদন বাড়াতে পারি তাহলে আমাদের দেশে আর কখনই কোনো খাদ্যের অভাব হবে না।’
সমবায়ের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় অবদান রাখায় ২০১৬ ও ১৭ সালের ১০টি শ্রেণিতে জাতীয় সমবায় পুরস্কার দেন তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।