কামরুল ইসলাম: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যখন নানান হিসেব নিকেশ প্রায় শেষ পর্যায়ে ঠিক তখনই সর্বমহলে পরিচিত প্রয়াত আল্লামা ফুলতলির প্রতিষ্টিত সংগঠন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র নির্বাচনে অংশগ্রহণের খবরে নানান আলোচনা এখন অনেকের মুখেই।
কারা হচ্ছেন আল ইসলাহ’র প্রার্থী? এমন প্রশ্ন এখন “ট্যক অব দ্যা সিলেট”। গত কয়েকদিন ধরে আল ইসলাহ’র সভাপতি ও ফুলতলিপুত্র মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরীর সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে প্রার্থী করার জন্য মহাজোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের দফায় দফায় যোগাযোগের খবর নজর কেড়েছে সর্বমহলের।
তবে তার পক্ষ থেকে এখনও কোনো সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
আল ইসলাহ’র একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন-আল ইসলাহ সভাপতি এ ব্যাপারে খুব তীক্ষ্ণ বিবেচনা করছেন এবং সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থের সিদ্ধান্তই গ্রহণ করবেন।এক্ষেত্রে আমাদের অনেককেই বিভিন্ন আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
তবে কাদের প্রার্থী করা হচ্ছে এবং কিভাবে নির্বাচন করবে আল ইসলাহ তা এখন পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।
আল ইসলাহ ও তালামীযেএ কেন্দ্রীয় বিস্বস্থ সুত্রে জানা যায়,হবিগঞ্জ-৪ আসনে সংগঠনের সাবেক হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক(পৈলর সাব) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।
মৌলভীবাজার-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ।
মৌলভীবাজার-২(কুলাউড়া) আসনে নির্বাচন করতে প্রস্তুত কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কুলাউড়া উপজেলা আল ইসলাহ’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাজী ফজলুল হক খান সাহেদ।তিনি বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আল ইসলাহ’র সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে কুলাউড়ায় একটি শক্ত ব্যাক্তি ইমেজ তৈরী করেছেন।
মৌলভীবাজার-৩(সদর-রাজনগর) আসনে প্রার্থী হতে ইতোমধ্যে আলোচনায় আছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সংগঠনের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আলহাজ্ব হাফিজ আলাউর রহমান টিপু।তিনি পারিবারিকভাবে এলাকার একজন দাতা ও সমাজসেবক হিসেবে মৌলভীবাজার জেলায় ব্যাপক পরিচিত।বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে সর্বমহলে সাড়া জাগিয়ে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তার প্রতি এলাকার মানুষের আস্থা প্রবল বলে শোনা যায়।
মৌলভীবাজার সদর,রাজনগর,কুলাউড়া, জুড়ি,বড়লেখা,জকিগঞ্জ,কানাইঘাট,হবিগঞ্জ সদর উপজেলার একাধিক আল-ইসলাহ ও তালামীয নেতা বিষয়গুলোর সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য যে,বৃটেনে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী গতকাল সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন বলে জানা যায়।শিগগিরই এ বিষয়ে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।