ডেস্ক রিপোর্ট: ডাকাতি ছেড়ে দেওয়ায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পাড়ুয়া তিনতলা বিল্ডিং নামক এলাকায় বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় এক পাথর ব্যবসায়ীতে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত পাথর ব্যবসায়ী উপজেলার নয়াগাঙ্গের পাড় গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে শুকুর আলী (৩০)। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ৩টি গ্রেফতারি পরোয়ানা সহ বেশ কয়েকটি ডাকাতি মামলাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শুকুর আলী এক সময় ডাকাতি করতো। সে ডাকাতি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে নদী থেকে পাথর সংগ্রহ করে বিক্রি শুরু করে। এতে তার সহযোগী ডাকাতরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা প্রতিনিয়ত তাকে হুমকি দিতে থাকে। এতে ভয় পেয়ে শুকুর আলীর স্ত্রী পিয়ারা বেগম বাদি হয়ে গত ১৪ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রীর আবেদন করেন। পুলিশ ১৫ নভেম্বর ডায়রীটি নথিভুক্ত করে (জিডি নং-৬২০)। কয়েকদিন আগে শুকুর আলীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ হবি ডাকাতসহ ২ জনকে গ্রেফতারও করে। হবি ডাকাতের বিরুদ্ধে সিলেটের একাধিক থানায় বেশ কয়েকটি ডাকাতি মামলাও রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ৮টায় বাড়ি থেকে কোয়ারি এলাকায় মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন শুকু আলী। এ সময় আগে থেকে হবি ডাকাতের নেতৃত্বে ওৎ পেতে থাকা ১৫/১৬ জন সশস্ত্র লোক দেশিয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শুকুর আলীর গতিরোধ করে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত এবং বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম আরো বলেন, মরদেহটি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হবি ডাকাতের বিরুদ্ধেও থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। ওসি তাজুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে আরো জানান, আমি যা তথ্য দিয়েছি, হুবহু তথ্য সবাইকে দিচ্ছি। তবে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমার বক্তব্য পরিবর্তন করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা সত্যিকার অর্থে দুঃখজনক।