সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে পাচাঁরের সময় আবারো ২মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু ৫০মে.টন কয়লা বোঝাই ৪টি নৌকা ও বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ চোরাচালানীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিনের মতো গতকাল ১১.১১.১৮ইং রবিবার রাত ৮টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট ও চাঁরাগাঁও সীমান্তের মাঝে অবস্থিত লালঘাট এলাকা দিয়ে ভারত থেকে ৪২মে.টন কয়লা,১৫কার্টন অফিসার চয়েদ মদ ও ৫০০পিছ ইয়াবা পাচাঁর করে কয়লা ও মাদক মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,এহসান মিয়া,খোকন মিয়া,রুবেল মিয়া ও আব্দুল আলী ভান্ডারী। পরবর্তীতে পাচাঁরকৃত কয়লা ও মাদকদ্রব্য কয়লা পাচাঁর মামলার আসামী জানু মিয়া,খোকন মিয়া ও রুবেল মিয়ার বাড়ির উঠানে নিয়ে মজুত করে ৫টি বারকি নৌকা বোঝাই করার সময় খরব পেয়ে পার্শ্ববর্তী চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আইয়ুব খান অভিযান চালিয়ে ২মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেন। কিন্তু চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেননি। যার ফলে পরবর্তীতে রাত ৯টায় উপরে উল্লেখিত চিহ্নিত চোরাচালানীরা ৩টি বারকি নৌকা বোঝাই করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের তেলিগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত গুইলের খাল নামকস্থান দিয়ে পাটলাই নদীতে নিয়ে ১টি বড় স্টিলবড়ি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে ৪০মে.টন চোরাই কয়লা নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার ডেইটটা খালী নামকস্থানে নিয়ে যায়। এময় বালিয়ঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ার,হাবিলদার মশিউর ও নায়েক জাহাঙ্গীর দাড়িয়ে থেকে চোরাচালান কালাম মিয়া ও জানু মিয়াকে দিয়ে ১বস্তা কয়লা থেকে ১৫০টাকা করে চাঁদা নিয়েছে বলে জানাগেছে। আর ইয়াবা ও মদের চালান দুধের আউটা গ্রামের মাদক স¤্রাজ্ঞী আংগুরী বেগম,চোরাচালানী নয়ন মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া, লালঘাট গ্রামের কালাম মিয়া,আব্দুল আলী ভান্ডারী ও জানু মিয়ার বাড়িতে মজুত রাখা হয়। অন্যদিকে অস্ত্র পাঁচার মামলার আসামী ইয়াবা ব্যবসায়ী ল্যাংড়া বাবুল,ইদ্রিস আলী,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,ইসাক মিয়া,দূরবীন শাহ,তার ছেলে বদিউজ্জামাল,মংলা মিয়া,তার ছেলে আবুল মিয়া,হাসান আলীগং টেকেরঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত ভারত থেকে ১০মে.টন কয়লা ও ৮০০পিছ ইয়াবা পাচাঁর করে বালিয়াঘাট ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত বিন্দারবন্দ গ্রামের ফেরদৌস মিয়া,লাকমা গ্রামের ল্যাংড়া বাবুল,আশিকনুর,কামরুল মিয়া,পুটিয়া গ্রামের জহির মিয়া ও বড়ছড়া গ্রামের ইসাক মিয়ার বাড়িতে নিয়ে মজুত করে। এবং ১বস্তা কয়লা পাচাঁরের জন্য টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১২০টাকা,থানার নামে ৫০টাকা চাঁদা নিয়েছে ল্যাংড়া বাবুল ও ইসাক মিয়া। কয়লা ও মাদক পাচাঁরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ার,হাবিলদার মশিউর ও নায়েক জাহাঙ্গীরের বক্তব্য জানার জন্য বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ করেনি। এব্যাপারে টেকেরঘাট বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আনিসুল হক বলেন,টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে শ্রমিকরা চুরি করে মাঝে মধ্যে কয়লা নিয়ে যাওয়া বিষয়টি জানতে পেরেছি তবে লালঘাট দিয়ে কয়লা পাচাঁরের খবর পেয়ে বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ার সাহেবকে ফোনে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তিনি বলেছেন ঘটনাস্থলে তিনি উপস্থিত ছিলেন কয়লা পাচাঁর হয়নি। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মাহমুদুর রহমান বলেন,তাহিরপুর সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।