কয়েক দশকের তুলনায় সম্প্রতি জাপানি তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। দেশটির এক সরকারি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে শিশু ও তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেশি দেখা গেছে।ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত বেশি আত্মহত্যা করেছে হাইস্কুল শিক্ষার্থীরা। ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম জাপানি শিশু ও তরুণদের মধ্যে এমন অবস্থা দেখা যাচ্ছে। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।জাপানের পরিচালিত এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ২৫০ জন শিশু ও তরুণ নিজেদের জীবন কেড়ে নিয়েছে নিজেরাই।এর কারণ সম্পর্কে জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, অপমানের শিকার হয়ে অনেক শিশু ও তরুণ আত্মহত্যা করছে। এছাড়া বিভিন্ন পারিবারিক ইস্যু এবং চাপ থেকেও এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।এর আগে ১৯৮৬ সালে ২৬৮ জন আত্মহত্যা করেন। এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ। ওই সংখ্যা থেকে মাত্র কয়েকজন পিছিয়ে আছে এবারের সংখ্যা।শিশু ও তরুণদের আত্মহত্যা সম্পর্কে জাপানের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। এটা সামাল দেয়া জরুরি। তবে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারেননি তিনি।প্রসঙ্গত, জাপানে আত্মহত্যার সংখ্যা গণনায় বছর বিবেচনা করা হয় সেপ্টম্বরের ১ তারিখ থেকে। এ হিসাবে ২০০৩ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে মোট আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে শিশু ও তরুণ আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা।পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৩ সালে জাপানে মোট ৩৪ হাজার ৪২৭ জন আত্মহত্যা করেন। আর ২০১৭ সালে এই সংখ্যাটি ২১ হাজার ৩২১-এ নেমে এসেছে।