ডেস্ক নিউজ:এইচ এম এরশাদ নেতৃত্বাধীন দলটিকে ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর সংলাপে অংশ নিতে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলও ঠিক করেছে জাতীয় পার্টি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও শুক্রবার বিকল্প ধারার সঙ্গে সংলাপ করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তারপর তিনি বসবেন সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে।
সংলাপের পালে হাওয়া লাগার পর বুধবার সকালে এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভ রায় তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি নিয়ে যান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শলা-পরামর্শ করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান। আমরা এখন অপেক্ষা করব, কবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সময় দেন।”
এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন জাতীয় পার্টিকে সংলাপের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বারিধারায় এরশাদের বাড়িতে যান।
গোলাপ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণপত্র জাপা চেয়ারম্যানের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। উনারা আমাকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেবেন।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের সংলাপের আগ্রহ প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের দ্বার সব সময় উন্মুক্ত আছে।”
এরশাদ বলেন, “ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ সফল হবে না। কারণ তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগসহ যে দাবি তুলেছেন, তা সরকার মেনে নিতে পারবে না।”
জাতীয় পার্টিকে এখন দেশের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দল’ অভিহিত করে তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি নির্বাচনে গেলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে।”
এরশাদ জানান, বিএনপি নির্বাচনে গেলে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে, বিএনপি না গেলে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে তার দল।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু, সুনীল শুভ রায়, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, এস এম ফয়সল চিশতী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মুনির উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে নবম জাতীয় সংসদে নির্বাচনে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি। পরে ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি সংসদে প্রধান বিরোধীদলের তকমা পায়। দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ সংসদে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হন।
সংসদে বিরোধী দল হলেও সরকারের মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির একজন মন্ত্রী ও দুজন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। এরশাদও হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ