সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;প্রেমিকের ডাকে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিকা। ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বার থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের পালাশপোল এলাকার নাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত তামান্না খাতুন (২১) কালীগঞ্জ উপজেলার কলিযোগা গ্রামের সেলিম গাজীর মেয়ে।
এ ঘটনায় ওই প্রাইভেট চেম্বারের ডাক্তারের সহকারী আবু সাঈদকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সাঈদ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের আশরাফ হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তামান্নার সাবেক স্বামীর নাম রফিকুল ইসলাম। তাদের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। কয়েক মাস আগে সাঈদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের এসআই প্রদীপ কুমার দাস জানান, নাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রাইভেট চেম্বার ও একই স্থানে পরিবার নিয়ে থাকেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. কাজী আরিফ আহমেদ। আবু সাঈদ ডাক্তারের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। মঙ্গলবার ডাক্তার সপরিবারে ঢাকায় যান। তিনি ঢাকায় গেলে আবু সাঈদকে তার বাসার দেখাশোনার দায়িত্ব দেন। ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে আবু সাঈদ একাই সেখানে ছিলেন। পরে প্রেমিকা তামান্নাকে ডেকে নেন সাঈদ। এ সময় বিয়ে করার জন্য সাঈদকে বারবার তাগিদ দেন তামান্না। একপর্যায়ে তারা দুপুরে ও রাতে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন।
এসআই প্রদীপ কুমার দাস বলেন, রাতের কোনো একসময়ে তামান্না ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওয়েটিং রুমের ফ্যানের সঙ্গে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তামান্নার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক্তার কাজী আরিফ আহমেদ বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঢাকায় আছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি।