স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটে সরকারি হাসপাতালের অফিস সহকারীর দুর্নীতি, অনিয়ম, আত্মসাৎ ও মিথ্যা-বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশিত হলেও বন্ধ হয়নি তার অনিয়ম, দুর্নীতি। উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছেন প্রতিনিয়ত। এ ব্যাপারে বুধবার (১৭ অক্টোবর) সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বরাবরে এক আবেদন করেন ভুক্তভোগী আবুল হোসেন।
জানা যায়, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল সিলেট-এর অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর নূর মোহাম্মদ অনিয়ম, দুর্নীতি করে আসছেন। তার লাগাতার দুর্নীতির কারনে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তার এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে আরো ক্ষোভে উঠেন নুর মোহাম্মদ। সংবাদকর্মীদের বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হলে গত ৩ অক্টোবর সিলেটের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলটি করেন তিনি। আর স্বাক্ষী করে তার বড় ভাইকে।
জানা গেছে, সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সাবেক ওয়ার্ড বয়-এর পুত্র হওয়ার সুবাদেই নূর মোহাম্মদের সরকারি চাকরি। উপজেলা থেকে সিলেট জেলা ও বিভাগীয় সদরে বর্তমানে স্থায়ী অবস্থান তার। মাত্র পাঁচ বছর আগে অফিস সহকারি পদে সরকারি চাকুরি নেয়া নূর মোহাম্মদ এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। বিভাগীয় সদর সিলেট মহানগরে বিলাসবহুল একাধীক বাড়ি ও গাড়ির মালিক তিনি। নিজের সম্পর্কে ভুয়া ও অন্যান্য বিষয়ে অলীক তথ্য দিয়ে দুই মিডিয়া কর্মীর বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার মানহানীর একটি মামলা করেন। যা সিলেটের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি সিআর মামলা নং ১৩২৭/২০১৮। সরকারি চাকরিজীবি হওয়া সত্বেও মামলায় বাদী নিজের বয়স পর্যন্ত ঠিক করে জানাতে না পারায় তার এ মামলা নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট শাখা অভিযোগ প্রপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে ।