সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক : সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই এলাকাবাসীকে জিম্মি করতে চায় ওলিউর-জাহেদ অপরাধী সিন্ডিকেট। তবে এদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বাড়ছে অসন্তোষ। স্থানীয়রা মনে করেন কিছুলোকের কারণে এলাকার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। সবাই সংঘটিত হলে অপরাধীরা এলাকা ছাড়া হবে বলে মনে করেন অনেকে। মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, অর্থ-আত্মসাৎ, অসামাজিকতা এখন এই সিন্ডিকেটের পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। বেপরোয়া এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা হচ্ছেন মান্দার গ্রামের ওলিউর রহমান, জাহেদ মিয়া, সিরাজ মিয়ার ছেলে কবির মিয়া, মোস্তাক আহমদ, মোঃ হোসেন বাবর, হিবরু মিয়া প্রমুখ। অতীতে ২০০০সালে একটি খুনের ঘটনায় বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয় ওলিউরের। এই ঘটনায় এলাকা ছাড়া ছিল ওলিউর। ইদানিং বিভিন্ন ঘটনার বিচার না হওয়া এবং একের পর এক অপকর্ম করে পার পাওয়ার কারনে এই অপরাধীচক্র এলাকার মানুষের কাছে আতংক হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। ফলে এলাকায় তীব্র অসন্তোস বিরাজ করছে।
ওলিউরের বিরুদ্ধে অসমাজিকতা এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে জাহেদের বিরুদ্ধে। এছাড়া মোস্তাক স্থানীয় স্কুল শিক্ষককে লাঞ্চিত করার ঘটনায় দীর্ঘদিন এলাকাছাড়া ছিল। এলাকার বিভিন্ন শ্রেনীপশোর মানুষ ওলিউর জাহেদ এর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করে বলেন বর্তমানে এই সিন্ডিকেট এর কাজ হচ্ছে প্রবাসীসহ বিভিন্ন মানুষের অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারনা। এই চক্রের সদস্য মোঃ হোসেন হিবরু একজন ধান্ধাবাজ, সুযোগ সন্ধানী প্রতারক। এই প্রতারক সিলেট মহানগরীর উপশহর এলাকার জনৈক আব্দুল মালিকের বাসার তদারকির কাজ করার সময় বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করে। এদিকে হিবরু মিয়া পাশ্ববর্তী ফেনগ্রামের আতিকুর রহমানের টাকা আত্মসাৎ করে। এছাড়া আরেক সদস্য কবির মিয়ার বাবা সিরাজ এর বিরোদ্বে আছে নৌকা চুরির অভিযোগ, তার বড় ভাই জগন্নাথপুর বাজারে একটি দোকানে কাজের সময় দোকান মালিকের টাকা আতœসাত করে, এধরনের নানা অভিযোগ আছে কবিরের বিরুদ্ধেও।
এলাকার এই দূর্বৃত্তদের অপরাধ সম্পর্কে এলাকাবাসীকে অবহিত করা, সচেতন করা এবং ঐতিহ্যবাহী চারখাই এলাকার সুনাম রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা।